ইইউর ওয়াটার কনভেনশনে অনুস্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত সরকারের

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ‘কনভেনশন অন দ্য প্রোটেকশন অ্যান্ড ইউজ অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটার কোর্সেস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লিগ-১৯৯২ কনভেনশন’ এ অনুস্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া (সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, আন্তঃমন্ত্রণালয়, ওই কনভেনশনের সেক্রেটারিয়েট থেকে লোক আসা) এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে এ কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগি ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা সব সময় বলি কেন আন্তর্জাতিক আইনগুলোতে সই করছি না, এ অভিন্ন জলরাশির পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জাতিসংঘের দুটো (১৯৯৭ কনভেনশন ও ১৯৯২ কনভেনশন) আইন রয়েছে।১৯৯৭ কনভেনশনটি ১৯১৪ সালে কার্যকর হয়। উজানের দেশগুলোর অনীহার কারণে মাত্র ৩৬ টি দেশের সই লাগতো। সেই সই পেতেই লেগে যায় ১৭ বছরেরও বেশি সময়।
- আরও পড়ুন
- তিন প্রজন্মে নয়, এক প্রজন্মেই মামলা শেষ হবে: রিজওয়ানা হাসান
- বিচার বিভাগের সংস্কার শিগগির শুরু: রিজওয়ানা হাসান
- ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
আরেকটি আইন রয়েছে যেটি খুবই কার্যকর। যদিও ১৯৯২ সালের এ আইনটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে টার্গেট করে, এটি ২০১৬ সালে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে এ পর্যন্ত ১১টি দেশ এতে সই করেছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ দেশি হচ্ছে আফ্রিকান।
এমইউ/এমএএইচ/জিকেএস