চিকিৎসাখাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, ১২ মে ২০২৫
সিভিল সার্জন সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান উপদেষ্টা

চিকিৎসকদের নিজের দায়িত্ব, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও সক্ষমতা নিয়ে চিকিৎসাসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১২মে) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সিভিল সার্জন সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন । জেলা সিভিল সার্জনদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন সোমবার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা যে স্বাস্থ্যহীন সেটা আমরা সবাই বুঝি এবং একে অপরকে দোষ দেই। কিন্তু দোষ দিলে তো স্বাস্থ্যহীনতা দূর হয়ে যাবে না। এটার প্রতিকার করতে হবে যাতে করে আমরা স্বাস্থ্যসেবা ঠিক করতে পারি। দুনিয়ার যত দেশ আছে, যত জাতি আছে তারা যদি নিজ নিজ স্বাস্থ্যসেবা আমাদের চাইতে ভালো করতে পারে তাহলে আমাদের মধ্যে কী গাফেলতি আছে, কী অভাব আছে যে কারণে আমরা পারছি না? নিজেদের কাছে আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে যে, কীভাবে আমরা এটা ঠিক করতে পারব।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।

সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম কোভিড মহামারি ও জুলাই আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করায় চিকিৎসদের অভিনন্দন জানান।

স্বাস্থ্যসেবায় সিভিল সার্জনরা মূল কান্ডারি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের যথেষ্ট সাফল্য থাকলেও ওষুধ খাত, যন্ত্রপাতিসহ জনবলের ঘাটতি প্রকট থাকায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এখনো অনেকটাই পেছনে। কিন্তু সিভিল সার্জনরা তাদের মেধা-মনন ও দায়িত্বশীলতাকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসাখাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সাত হাজার সুপার নিউমারারি (অতিরিক্ত) পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির কাজ চলমান আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। শুধু চিকিৎসক নয়, নার্সও নিয়োগ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. সাইয়েদুর রহমান বলেন, পদোন্নতি, পদায়ন, বাজেট এবং ওষুধের অপ্রতুলতা সমস্যার সমাধান হলেই স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি সম্ভব। স্বাস্থ্যখাত পুনর্গঠনের জন্য ইউনিক হেলথ কার্ড করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. জিল্লুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর।

এমইউ/এএমএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।