পাঠ্যসূচিতে ট্রাফিক আইন অন্তর্ভুক্তি করা প্রয়োজন : ওবায়দুল কাদের
যানজট ও দুর্ঘটনা একবারে কমিয়ে আনতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ট্রাফিক আইন অন্তর্ভুক্তি করা জরুরী বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নতুন সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার নির্মাণ ও রাস্তার লেন বাড়িয়ে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেছে। তবে, যানজট ও দুর্ঘটনা একবারে কমিয়ে আনতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ট্রাফিক আইন অন্তর্ভুক্তি, ভিআইপিদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং রাজনৈতিক দলের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পরিহার করা জরুরী।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এই সরকারের আমলে আমরা যানজট ও দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ১৮টি বিপজ্জনক বাকের (ব্লাক স্পট) সংস্কার করে এই সড়কের ৮০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশের মহাসড়কের ১৪৪টি ব্লাক স্পট সংস্কারের কাজও শুরু হচ্ছে। তবে, জনসচেতনা বৃদ্ধি করা সম্ভব না হলে দুর্ঘটনা একেবারে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে না।
মন্ত্রী বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুলের পাঠ্যক্রমে ট্রাফিক আইন অর্ন্তভূক্ত করে স্কুল পর্যায় থেকেই আগামী প্রজন্মকে সচেতন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আমি পুনরায় অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ভিআইপিদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
তিনি ভিআইপিদের উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, তারা যদি রং সাইড দিয়ে না চলে জনগণের কাছে উদাহারণ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হন, তাহলে সাধারণ জনগণ আইন মানবে কেন?
ওবায়দুল কাদের বিএনপি’র ডাকা হরতালকে অহেতুক ও জনভোগান্তিমূলক উল্লেখ করে বলেন, হরতালে বিএনপি কর্মীরাই মাঠে নামে না, জনগণও তাতে সাড়া দেয় না, শুধু সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বাড়ে। আজ (সোমবার) এবং গতকাল (রোববার) হরতালকারীরা অফিস যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বোমা ছুড়ে মেরে সাধারণকে হতাহত করার দুঃখজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।
বিভিন্ন এনজিও, সড়ক যোগাযোগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারি নেতৃবৃন্দ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে (নিসচা) সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও সংস্থাসহ সুধী সমাজের ব্যক্তিবগের্র সরাসরি প্রশ্নোত্তরমূলক ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ : যোগাযোগের ক্ষেত্রে দৃম্যমান অগ্রগতি’ শীর্ষক এই সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।