ডেঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান শুরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩০ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৫

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) জরিপ অনুযায়ী ডেঙ্গুতে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১, পাইকপাড়া সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্টাফ কোয়ার্টারে ‘অপারেশন ক্লিন টুডে: সেফ টুমোরো’ শীর্ষক বিশেষ এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

ডেঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান শুরু

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তার বক্তব্যে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সবার সচেতনতা। সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। একই সঙ্গে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এডিস মশার উৎপত্তি স্থলের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে, যেন তারা তাদের বাসাবাড়ির আশপাশে পরিত্যক্ত পাত্রে পানি জমে থাকতে না দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের প্রতিবেদনে ২, ৮, ১২, ১৩, ২২ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব বেশি পাওয়ায় এসব এলাকাকে ডেঙ্গু আক্রান্তের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এসময় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কীটতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ছয়টি ওয়ার্ডে মশার লার্ভার ঘনত্ব বেশি পাওয়া গেছে। সেসব ওয়ার্ডে সমন্বিতভাবে লার্ভা ও উড়ন্ত মশা নিধনে আজ থেকে একযোগে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

ডেঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান শুরু

অভিযানের আওতায় এডিস মশার প্রজননস্থল অপসারণ, লার্ভিসাইডিং ও ফগিং, জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।

ডিএনসিসি আশা করছে, এ ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

এমএমএ/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।