মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: নেত্রকোনা থেকে গ্রেফতার আরও ২

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২৫
সজীব ব্যাপারী ও রাজীব ব্যাপারী

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ নিয়ে সোহাগ হত্যায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হলো।

রোববার (১৩ জুলাই) ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে নেত্রকোনার দুর্গাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার দুইজনের মধ্যে একজন এজাহারনামীয় সাত নম্বর আসামি সজীব ব্যাপারী। অপরজন ১০ নম্বর আসামি রাজীব ব্যাপারী।

রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুর্গাপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সজীব ও রাজীব আপন দুই ভাই। তাদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে সোহাগ হত্যার ঘটনার পর থানা পুলিশ তিনজনকে এবং র‍্যাব দুইজনকে গ্রেফতার করে।

শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ভাঙারি ব্যবসা ও দোকানে কারা ব্যবসা করবে, তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সোহাগ ও অভিযুক্তরা আগে একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। লেনদেন ও অংশীদারত্ব নিয়ে মতবিরোধ থেকেই এই সহিংসতার সূত্রপাত।

গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে লালচাঁদ ওরফে সোহাগ নামের ওই ব্যবসায়ীকে একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করেন। পরদিন নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন ও টিটন গাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাছাড়া র‍্যাবের পৃথক অভিযানে আলমগীর ও মনির ওরফে ছোট মনিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়।

কেআর/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।