৭৯৩ মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি, তদন্ত চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দেশের ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান বলেও জানান তিনি।

রোববার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

তিনি বলেন, সবচেয়ে যে বড় একটা ঘটনা ঘটেছিল, যে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং দুর্গাপূজার মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের মদত রয়েছে, যা এরই মধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে।

তিনি বলেন, একটি পার্শ্ববর্তী দেশ দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিন্দনীয়ভাবে উপস্থাপন নিয়ে যে সংবাদ পাওয়া গেছে এবং অসুরের মুখে দাড়ি দেওয়ার কাজটির মধ্যেও তারই যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে।

৭৯৩ মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি, তদন্ত চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা, গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি, দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজামণ্ডপ কমিটির সহযোগিতায় আমরা এই কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ ও সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং সহিংসতার সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল। এ ঘটনায় কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীরও ইন্ধন ছিল।

কতটি মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানো হয়েছে? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৭৯৩টি মণ্ডপে এমন করা হয়েছে। সবগুলো দেশের মধ্যে। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে জিডি করা হয়েছে। ইনভেস্টিগেশন চলছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা এটা (অসুরের মুখে দাড়ি) নিয়ে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ধর্মীয় নেতারা এটা নিয়ে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করছেন।

আরএমএম/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।