যুগ্ম সচিবকে নিজের গাড়িতে জিম্মি করে ৬ লাখ টাকা দাবি চালকের
পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের যুগ্মপ্রধান (যুগ্ম সচিব) মাকসুদা হোসেনের আইনফোন কেড়ে নিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা তারই সরকারি গাড়িতে জিম্মি করে রাখেন ওই গাড়িচালক। এরপর তার কাছে ৬ লাখ টাকা দাবি করেন।
এ ঘটনায় বর্তমানে ওই গাড়িচালক পুলিশ হেফাজতে। আউয়াল নামের এই চালক দুই মাস আগে যুগ্ম সচিব মাকসুদা হোসেনের ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে নিয়োগ পান।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম সচিব ধানমন্ডিতে বসবাস করেন। প্রতিদিনের মতো আজ বুধবার সকাল ৮টার পরে পরিকল্পনা কমিশনের উদ্দেশে গাড়িতে রওয়ানা দেন। কিন্তু চালক ধানমন্ডি থেকে বের হয়ে গাড়ি পরিকল্পনা কমিশনে না নিয়ে উত্তরা দিয়াবাড়িতে নিয়ে যান। এরপর গাড়ি নিয়ে যান টঙ্গীতে। এরপর যান ভাষানটেকে। গাড়ি পরিকল্পনা কমিশনে নেওয়ার কথা বললেও চালক এরপর যুগ্ম সচিবকে জিম্মি করে টাকা দাবি করেন। এরপর তিনি ওই গাড়ি আবারও টঙ্গী ও পরে সাভারের হেমায়েতপুর নিয়ে যান।
আরও পড়ুন
নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য
অর্থপাচার: দেশে-বিদেশে ৬৬১৪৬ কোটি টাকার সম্পদ সংযুক্ত-অবরুদ্ধ
এ অবস্থায় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ৯৯৯- এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চাইতে গেলে যুগ্ম সচিবের ফোন কেড়ে নেন চালক। পরে গাড়ি ইউটার্ন নিয়ে উত্তরা দিয়াবাড়িতে নেওয়া হয়। এভাবে প্রায় চার ঘণ্টা গাড়িতে আটকে রাখা হয় যুগ্ম সচিবকে। পরে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়াসহ ৬ লাখ টাকা দেবেন- এমন দাবি মেনে নিলে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান।
এ বিষয়ে যুগ্ম সচিব মাকসুদা হোসেন বলেন, এই চালক আমার অফিসের এক কলিগের গাড়িচালক ছিলেন। দুই মাস হলো আমার গাড়ি চালান। প্রতিদিনের মতো আমি সকাল ৮টার পরে অফিসের উদ্দেশে বের হই। কিন্তু তিনি আমাকে অফিসে না নিয়ে গাড়িতে চার ঘণ্টা জিম্মি করে রাখেন, আমার ফোন কেড়ে নেন। এ ঘটনায় জিডি করে আইনি পদক্ষেপ নেবো। তবে ওই চালক এখন পুলিশ হেফাজতে শেরেবাংলা নগর থানায় আছেন। তিনি আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা প্রাথমিকভাবে দাবি করাসহ ৬ লাখ টাকা দাবি করেন।
মাকসুদা হোসেন আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে আগেও দুটি মামলা ছিল। একটি মাদক সংক্রান্ত, অন্যটি রাজনৈতিক মামলা। কিন্তু নিয়োগের সময় বিষয়গুলো বুঝতে পারিনি। আমি ট্রমার মধ্যে আছি।
এমওএস/কেএসআর