ডিসি মাসুদ
শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে সরিয়ে দিয়েছি, ঢিল ছোড়ায় আটক ৫
বাড়িভাড়া বাড়ানোর দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের অধিকাংশই শহীদ মিনারের দিকে চলে গেছেন। যারা যেতে চাননি, ঢিল মেরেছেন, তাদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। হয়তো পাঁচ থেকে ছয়জন হবে। তারা আটকও নয়, আসলে হেফাজতে আছেন। যারা নেতৃত্বে আছেন, সেই শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হলে ছেড়ে দেবো।
ডিসি মাসুদ আলম আরও বলেন, শিক্ষকদের আমরা সম্মান করি। তাদের আটকে রাখা বা মামলা করার কোনো ইনটেনশন আমাদের নেই। আমাদের উদ্দেশ্য জায়গাটায় মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করা। শিক্ষকদের বুঝিয়ে আমরা কর্মসূচি করতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পাঠিয়েছি। কিন্তু কিছু সংখ্যক শিক্ষক ও বহিরাগত এখানে অবস্থান অব্যাহত রেখেছিল। আমরা রাস্তা ফাঁকা করে দিয়েছি। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করার পর ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে ডিসি মাসুদ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন
শহীদ মিনারে একপক্ষ, পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ আরেক পক্ষ
সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামান-লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ শিক্ষকরা
মাসুদ আলম বলেন, তারা (শিক্ষকরা) অর্ধেকের বেশি শহীদ মিনারে চলে যান, আর অর্ধেক এখানে (প্রেস ক্লাবে) অবস্থান নেন। তখন নেতারা বলেন, তাদের দায়িত্ব আমরা নিতে পারবো না। তারা যেহেতু কথা শোনেননি, অন্য কেউ হতে পারেন। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে সময় দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, প্রেস ক্লাবের সামনে বন্ধ হওয়া মানে সারা ঢাকা শহরে প্রভাব পড়ে। মানুষের অবর্ণনীয় দুর্দশা হয়। সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছি যেন তারা ভয় পান। দূরে মেরেছি, তারা যেন আস্তে আস্তে সরে যান। এভাবে কয়েক দফায় করা লেগেছে।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সারাদেশ থেকে আসা কয়েক হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষক। দুপুরে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে বৈঠক শেষে ফিরে এসে শিক্ষক নেতারা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তবে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে মঙ্গলবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে শিক্ষকদের একটি পক্ষ নেতাদের কথায় শহীদ মিনারে না গিয়ে দাবি আদায়ে প্রেস ক্লাবের সামনেই অবস্থান করার ঘোষণা দেন। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
এএএইচ/কেএসআর/জিকেএস