গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
রোমে এফএও সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক কু ডংইউ, ছবি: প্রেস উইং

বাংলাদেশকে গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ শিল্পের উন্নয়ন ও কৃষিপণ্য, বিশেষ করে ফল রপ্তানির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কু ডংইউ।

১৩ অক্টোবর রোমে এফএও সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম ও সংস্থার ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন।

বিষয়টি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৈঠকে কু ডংইউ অধ্যাপক ইউনূসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ একটি উচ্চ পারফরম্যান্স সম্পন্ন দেশ। আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি এবং থাকবো। তিনি জানান, এফএও প্রযুক্তিগত সহায়তা, উদ্ভাবন এবং দক্ষিণ–দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে অংশীদারত্ব আরও জোরদার করবে।

অধ্যাপক ইউনূস এফএওর সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভবিষ্যতের জন্য তিনটি নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তাব করেন-

১. গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ দক্ষতা উন্নয়ন
২. ফল সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে রপ্তানি সম্প্রসারণ এবং
৩. ফসল-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ, বিশেষ করে স্বল্পমূল্যের মোবাইল কোল্ড স্টোরেজ প্রযুক্তি উদ্ভাবন।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে পুরো একটি সমুদ্র রয়েছে, কিন্তু আমরা কেবল অগভীর পানিতে মাছ ধরি। বিদেশি ট্রলার আমাদের জলসীমায় মাছ ধরে, আর আমরা প্রস্তুত নই।

আরও পড়ুন:
ক্ষুধা দূরীকরণ ও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ৬ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এফএও’র মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ

এর জবাবে ড. দোংইউ প্রস্তাব দেন, বাংলাদেশ চীনের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানিয়ে গভীর সমুদ্রের মাছের সম্ভাবনা মূল্যায়ন ও টেকসই আহরণ কৌশল প্রণয়ন করতে পারে।

ফল রপ্তানি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, চীন এরইমধ্যে বাংলাদেশের আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। ছোট কৃষকদের ফসল-পরবর্তী ক্ষতি রোধে মোবাইল কোল্ড স্টোরেজ প্রযুক্তি এখন জরুরি।

কু ডংইউ বলেন, উচ্চমূল্যের ফলকে নগদ ফসল হিসেবে বিকশিত করতে হবে। তিনি উদাহরণ টানেন, চীন ১৯৮০-এর দশকে জাপানে ফল রপ্তানি শুরু করে কৃষিখাতে বিপুল সাফল্য অর্জন করেছিল।

তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে অধ্যাপক ইউনূসের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ২০ বছর পূর্ণ হবে। আমরা সেই অর্জন উদ্যাপন করবো।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যবিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম।

এমইউ/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।