জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, রাস্তায় পড়েছিল জুলাই যোদ্ধার কৃত্রিম হাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষের ঘটনায় এক জুলাই যোদ্ধার কৃত্রিম হাত পড়ে থাকতে দেখা যায়/ছবি জাগো নিউজ

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান করা জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এক জুলাই যোদ্ধার কৃত্রিম হাত পড়ে থাকতে দেখা যায়।

আন্দোলনরত জুলাই যোদ্ধাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের সময় রাস্তায় দেখা যায় একজন জুলাই যোদ্ধার শরীরে লাগানো একটি কৃত্রিম হাত খুলে পড়ে যায় রাস্তায়। লাঠিচার্জ সহ্য করতে না পারায় হাত রেখেই পালিয়ে যান সেই অবস্থানকারী। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সংসদ ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

jagonews24

এর আগে তিন দফা দাবিতে সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান নেন জুলাই আহতরা। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই তারা সংসদ ভবনের গেট ভেঙে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এসময় পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা বাধা দিলে সংঘর্ষ লেগে যায়। এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে জুলাইয়ে পা হারানো এবং হাত হারানো বেশ কয়েকজনকেও দেখা যায়।

আরও পড়ুন
পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর-সড়কে আগুন
সংসদের সামনে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

জুলাই আহতরা লাঠিচার্জের শিকার হয়ে কিছুদূর যেতেই আবার পুলিশের উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ তখন বেশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। জুলাই আন্দোলনে আহতরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সংসদ ভবনের চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকেন। তাদের একটি অংশ জুলাই সনদ অনুষ্ঠানের জন্য নির্মিত রাস্তার একটি বুথে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পরে পুলিশ আবারও তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং ধাওয়া দেয়। এই প্রতিবেদন লেখার সময় (দুপুর ২টা ১৫ মিনিট) পর্যন্ত আসাদগেটের দিকে জুলাই যোদ্ধাদের এবং মোড়ে পুলিশকে অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়।

এমএইচএ/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।