প্রধান উপদেষ্টা

মুসলমান হওয়া ও নাগরিকত্ব হারানোর কারণে রোহিঙ্গারা কষ্ট পাচ্ছে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক/সংগৃহীত ছবি

রোহিঙ্গাদের দুর্দশা ভুলে না যেতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ আমাদের সময়ের অন্যতম মর্মান্তিক মানবিক বিপর্যয়। শুধু মুসলমান হওয়ায় এবং নাগরিকত্ব হারানোর কারণে তারা বছরের পর বছর কষ্ট পাচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত আট বছর ধরে রোহিঙ্গারা শরণার্থী শিবিরে বন্দি জীবন কাটাচ্ছে। তাদের সন্তানরা পর্যাপ্ত শিক্ষা ও ভবিষ্যতের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা হতাশা ও অস্থিরতার জন্ম দিতে পারে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) তুরস্কের সংসদ সদস্য ও তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে উভয়পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক উদ্যোগে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সহকারী প্রেস সচিব নাঈম শান জানান, বৈঠকে মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ দুদেশের বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে।

তিনি জানান, প্রতিনিধিদলটি গত রোববার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং সেখানে তুরস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর মানবিক কার্যক্রম, বিশেষ করে তুর্কিশ ফিল্ড হাসপাতালের সেবামূলক কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছে।

মুসলমান হওয়া ও নাগরিকত্ব হারানোর কারণে রোহিঙ্গারা কষ্ট পাচ্ছে

প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকটে তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশগুলোর রপ্তানি বাজারের জন্য একটি সম্ভাবনাময় উৎপাদনকেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

ড. ইউনূস বলেন, এই (প্রধান উপদেষ্টার) দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি তুরস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও গভীর করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।

প্রধান উপদেষ্টা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ফার্স্ট লেডির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন—বাংলাদেশের প্রতি তাদের অব্যাহত সহানুভূতি, মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য।

তিনি বলেন, তুরস্কের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে আমাদের জনগণের কল্যাণ ও অভিন্ন ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে উন্মোচনে কাজ করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত।

এমইউ/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।