জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়ন: দ্রুত হবে রপ্তানি, বাড়বে এফডিআই
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সরকার। এটি কোনো আইন না হলেও এ নীতিমালার দিকনির্দেশনার মাধ্যমে সরকার তার কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪৭তম বৈঠকে এ নীতিমালার অনুমোদন দেয়া হয়।
এদিন বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, এ নীতিমালা প্রণয়নের ফলে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়বে। ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) আসবে। বাংলাদেশে রপ্তানির যে প্রতিযোগিতা, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় আরও অনেক ভালো হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন কোনো পণ্য রপ্তানি করতে গেলে শিপমেন্ট এর ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরেই প্রায় ১১ দিন পড়ে থাকে। লজিস্টিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে পারলে পণ্য পরিবহন, পণ্যের প্রাপ্যতা সবার কাছে পৌঁছাবে, রপ্তানিও দ্রুত করা সম্ভব হবে। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির জন্য বেশি আগ্রহী থাকবে।
শফিকুল আলম জানান, ২০২৪ সালে এমন একটি নীতি করা হয়েছিল। কিন্তু সচিব কমিটি সেই নীতি পুনর্মূল্যায়ন করে দেখেছে নীতিমালায় দুই পৃষ্ঠা জুড়ে শুধু শেখ মুজিবের বন্দনা ছিল।
তিনি আরও জানান, নতুন এ নীতিমালার মূল টার্গেট ২০৫০ সালের মধ্যে লজিস্টিক্যাল যে ইস্যুগুলো (মূল ফোকাস থাকবে রেলওয়ে ও নৌ নৌপরিবহনের ওপর) সেগুলো যথাযথভাবে প্রস্তুত করা। বাংলাদেশে এখনো তিন হাজার কিলোমিটার নৌরুট ও তিন হাজার কিলোমিটার রেলওয়ে রয়েছে। কিন্তু এই রোডের বেশিরভাগই আমরা ব্যবহার করতে পারি না।
প্রেস সচিব বলেন, এ নীতিমালার মাধ্যমে লজিস্টিক্যাল ইস্যুগুলো একটা ডিজিটাল ইকো সিস্টেমে এসে পড়বে। অনেক কিছুই- যেমন কাস্টমসে যতগুলো ডকুমেন্টেশন ডিজিটালি ই-কাস্টমস বা ই ক্লিয়ারেন্স করা যায় সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে যে কেউ রিয়েল টাইমে তার রপ্তানিকৃত পণ্য কোথায় গেল তা বাংলাদেশে বসে ট্র্যাকিং করতে পারবে। যা আগে বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে করা যেতো। এ নীতিমালায় মোট ১১ টি অধ্যায় রয়েছে।
এমইউ/এএমএ/জেআইএম