‘নাছিরকে গুলি করতে হবে না, ইট দিয়ে বুকে আঘাত করলে মরে যাবে’

মো. রফিক হায়দার মো. রফিক হায়দার
প্রকাশিত: ০৮:২৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
বড় সাজ্জাদের কথোপকথনের এক অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে/ প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খান ওরফে বড় সাজ্জাদের কথোপকথনের এক অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে তাকে নাছির উদ্দিন চৌধুরী ওরফে শিবির নাছিরকে লক্ষ্য করে বলতে শোনা যায়, ‘নাছিরকে গুলি করতে হবে না, ইট দিয়ে বুকে আঘাত করলে মরে যাবে’।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ছড়িয়ে পড়া একটি অডিওতে এমন হত্যার হুমকি শোনা যায়। অডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রামে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

অডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা নাছিরের বাড়ি ভিডিও করবো, তাকে কিল ঘুসি মারবো, এগুলো ভিডিও করে নিউজ করাবো। নাছির বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করে। রেলওয়ে থেকে চাঁদাবাজি করে, মদের প্রত্যেকটা বার থেকে চাঁদাবাজি করে। প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে বার থেকে চাঁদা নেয়।’

তবে অডিও ইস্যুতে নাছির কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি আগেই বলেছেন, বড় সাজ্জাদের সঙ্গে তার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। টানা ২৬ বছর কারাভোগের পর গত বছরের ৫ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান নাছির। তার ভাষায়, ‘যদি কেউ মেরে ফেলে, মৃত্যু কবুল।’

আরও পড়ুন
ব্যবসায়ীকে ‘সন্ত্রাসীর’ বার্তা, ‘তোকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে মারবো’
অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যের বাড়িতে ডাকাতি

কারা সূত্র জানায়, নাছির ১৯৯৮ সালের ৯ এপ্রিল থেকে বন্দি ছিলেন এবং অতীতে শিবির রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় ‘শিবির নাছির’ নামে পরিচিত।

সূত্র আরও বলছে, শেখ হাসিনার পতনের পর চট্টগ্রামে পুরোনো আধিপত্য ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন বড় সাজ্জাদ, যিনি আলোচিত এইট মার্ডার মামলার আসামি। বর্তমানে তিনি ভারতের পাঞ্জাবে আছেন বলে জানা গেছে। তিনিও একসময়ে শিবিরের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদ থানার চালিতাতলী এলাকায় বিএনপি মনোনীত এমপি-পদপ্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি প্রচারণার সময় তার পাশে থাকা সরোয়ার হোসেন বাবলার ঘাড়ে পিস্তল ঠেকিয়ে পরপর ৬ রাউন্ড গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাবলা। তিনি অতীতে বড় সাজ্জাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

এমআরএএইচ/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।