কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ড তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের কমিটি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৯ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন: ফাইল ছবি

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে লাগা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অপারেসন্স অ্যান্ড মেইন্টেনেন্স) মো. মামুনুর রশিদকে তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন-২ এর উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা, তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা-২৩ এর ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. সোহরাব হোসেন এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামানকে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। পরে সোয়া ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন
কড়াইল বস্তির ১৫০০ ঘর-বাড়ি আগুনে পুড়েছে: ফায়ার সার্ভিস
৫ ঘণ্টা পর নিভলো কড়াইল বস্তির আগুন

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেন্টেনেন্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে বস্তির প্রায় ১৫০০ ঘর-বাড়ি পুড়েছে। আগুনে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য নেই ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের কাছে।

তিনি বলেন, আগুন লাগার ৩৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় তিনটি স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট। কারণ সড়কে অনেক যানজট ছিল। এরপর আরও ইউনিট এলেও বড় গাড়িগুলো ঢুকতে পারেনি সরু রাস্তার কারণে। অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে কাজ করতে হয়েছে। তবে এখানে পৌঁছানোর আগেই আগুন ডেভেলপ স্টেজে চলে যায়। এ কারণে কিছুটা সময় লেগেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে।

লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথমেই আমাদের খুবই বেগ পেতে হয়েছে আগুনের সোর্সের কাছে পৌঁছাতে। ফায়ার ফাইটাররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দ্রুত আগুন আটকানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।

ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ৩৫ মিনিট সময় লাগার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যানজট এর অন্যতম কারণ। বিকেলের দিকে যানজট বেশি ছিল। এজন্য তিন-চারটি স্টেশন থেকে ইউনিটগুলো মুভ করানো হয়। এখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার পরেও গাড়িগুলো ঢুকতে পারেনি। এ কারণে দূর থেকে পাইপ টেনে কাজ করতে হয়েছে।

আগুনের সোর্স সম্পর্কে তিনি বলেন, আগুন নেভানোর কাজ করার সময় দেখা গেছে, যত্রতত্র বিদ্যুতের তার রয়েছে, প্রত্যেক বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। আগুনের সোর্স তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

টিটি/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।