বিবিএসের জরিপ

পরিবারে কমেছে টেলিভিশন দেখা, বেড়েছে স্মার্টফোনের ব্যবহার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ফোন কিংবা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অপরদিকে, পরিবারে কমেছে টেলিভিশন দেখা। ২০২৩ সালে পরিবারে যেখানে ৬২ দশমিক ২ শতাংশ টিভি ছিল, ২০২৪-২৫ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই হার আরও নেমে এসেছে ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশে।

অপরদিকে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে খানায় (পরিবার)স্মার্টফোন ব্যবহারের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে ২০২৩ সালের ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ২০২৪-২৫ সালে ৭২ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছায়। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা সামান্য কমে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশে নেমেছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ ২০২৫-২৬ (প্রথম প্রান্তিক: জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সংস্থাটি ৩ মাস পরপর এ জরিপ করে। সর্বশেষ জরিপে ৬১ হাজার ৬৩২টি খানা (পরিবার) থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্য নেওয়া হয়েছে পাঁচ বছর বা তার বেশি বয়সের নাগরিকদের কাছ থেকে।

বিবিএস বলছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ খানায় (পরিবার) মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হয়েছে। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এতে খানাভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ সুবিধায় বাংলাদেশে ধারাবাহিক অগ্রগতি হলেও টেলিভিশন ব্যবহারে ধীরগতি দেখা গেছে।

দেখা গেছে, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিধি বাড়লেও কম্পিউটার ব্যবহারের হার এখনও এক অঙ্কেই সীমাবদ্ধ।

ইন্টারনেট ব্যবহারে বড় উল্লম্ফন লক্ষ্য করা গেছে। ২০২৩ সালে ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ খানায় ইন্টারনেট সুবিধা থাকলেও ২০২৪-২৫ সালে তা বেড়ে ৫৫ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছায়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই হার আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশে, যা ডিজিটাল সংযোগে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তবে কম্পিউটার ব্যবহারে অগ্রগতি খুবই ধীর। ২০২৩ সালে যেখানে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ খানায় কম্পিউটার ছিল, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এমওএস/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।