ধর্ম উপদেষ্টা

কিছু মানুষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

কিছু মানুষ নিজেদের হীন স্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নীলক্ষেতে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির (এনএপিডি) অডিটেরিয়ামে প্রজেক্ট ম্যানেজার ও এক্সিকিউটিভদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়িত মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে উন্নয়ন ও টেকসই সমাজের পূর্বশর্ত বলেও জানান উপদেষ্টা।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, স্মরণাতীতকাল থেকে এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য পরিবেশ বিরাজমান। তবে সমাজের কিছু মানুষ নিজেদের হীন স্বার্থকে চরিতার্থ করার ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করেছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সরকার সবার নিরাপত্তায় বদ্ধপরিকর।

তিনি বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে একতা সুসংহত করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সুবিধাবঞ্চিত নারী-শিশুদের উন্নয়নের মূল স্রোতোধারায় আনতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের পাশাপাশি মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে নৈতিক ও আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

এ প্রকল্পগুলোকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন। এছাড়া প্রকল্পের অর্থ যাতে যেনতেনভাবে ব্যয় না হয় সেবিষয়ে সবাইকে সোচ্চার হবার অনুরোধ জানান।

ড. খালিদ বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই একটি বিশেষ দলের প্রতি টান থাকতে পারে। কিন্তু আমরা যখন কোনো দায়িত্ব নেব তখন নিরপেক্ষভাবে কাজ করব, পেশাদারত্ব, সততা ও আন্তরিকতার দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এনএপিডির মহাপরিচালক (সিনিয়র সচিব) সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে এনএপিডি অতিরিক্ত মহাপরিচালক সায়মা আফরোজ এবং এনএপিডির উপপরিচালক ও কোর্স পরিচালক আবেদা সুলতানা বক্তৃতা করেন।

পাঁচদিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগ, আইএমইডি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, উপপ্রকল্প পরিচালক ও সহকারী প্রকল্প পরিচালকসহ মোট ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

জিওবির অর্থায়নে ৩৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭ হাজার ৪০০টি মন্দিরে প্রাক-প্রাথমিক, বয়স্ক ও শিশু শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

আরএমএম/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।