সম্পর্কের নতুন চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত

জেসমিন পাপড়ি
জেসমিন পাপড়ি জেসমিন পাপড়ি , কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৪ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
এআই নির্মিত প্রতীকী ছবি

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয় ভারত। দেশটিতে পালিয়ে আশ্রয় নেন আরও অনেক নেতা। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে দুই দেশের সম্পর্কে তিক্ততা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় রাজনৈতিক সম্পর্কের নতুন এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ-ভারত।

কার্যত সবশেষ ১৫ দিনে সম্পর্কের শীতলতা প্রায় তলানিতে নেমেছে। গত ১০ দিনে দুই দেশ দুবার করে পরস্পরের কূটনীতিককে তলব করে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানায়।

সবশেষ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) একই দিনে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে এবং দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই দিনে দুই দেশের দূতকে পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনা বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের ইতিহাসে এই প্রথম।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, দুই দেশের কূটনীতিককে দফায় দফায় ডাকা ছাড়াও তাদের যেভাবে আপ্যায়ন করা হচ্ছে সেটাও কূটনৈতিকভাবে বেশ দৃষ্টিকটু।

সম্পর্কের নতুন চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত

দিল্লির একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে চা পানের আমন্ত্রণের কথা বলে তলব করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে বাংলাদেশের হাইকমিশনার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে তাকে বলা হয়, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হাইকমিশনার অবশ্য তখন এ অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে। এর আগেও গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে অ্যাটেন্ড করেন যুগ্ম সচিব বি শ্যাম। সচিব পদমর্যাদার একজন হাইকমিশনারকে যুগ্ম সচিব দিয়ে তলব করানোটা ভালোভাবে দেখছে না বাংলাদেশ।

এদিকে মঙ্গলবার ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেন পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এদিন সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সরাসরি তিনি পররাষ্ট্র সচিবের দপ্তরে যান এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই নেমে আসেন। আসা যাওয়া মিলিয়ে পাঁচ মিনিটের কম সময়ে মন্ত্রণালয় থেকে বের হয়ে যান ভারতীয় হাইকমিশনার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্মতারা বলেন, এটা মোটেই উষ্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে না।

এদিকে দুই দেশের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রাশিয়া ও জাপানের মতো ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্রগুলোও ভারত–বাংলাদেশের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কের নতুন চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত

বিশ্লেষকরা বলছেন, বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে এমন কূটনৈতিক উত্তেজনা নিকট অতীতে আর দেখা যায়নি।

তাদের মতে, শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘদিনের অগণতান্ত্রিক শাসনের প্রতি ভারতের একচেটিয়া সমর্থনের পাশাপাশি দুই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক হিসাব–নিকাশই বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের এই অবনতির প্রধান কারণ। একে অপরের অগ্রাধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে সম্মান করে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক পরিচালনা করলেই দুই দেশের সম্পর্ক টেকসই হতে পারে বলে মনে করেন তারা।

ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সিজিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো পারভেজ করিম আব্বাসী জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের যে ধারা ছিল, তার প্রভাব বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনোভাবের ওপর পড়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘদিনের অগণতান্ত্রিক শাসনের প্রতি ভারতের একচেটিয়া সমর্থনের কারণে বাংলাদেশে ভারতের প্রতি একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এই সমর্থন ভারতের ভূরাজনৈতিক বা নিরাপত্তাগত স্বার্থ থেকে দেওয়া হলেও, আওয়ামী লীগের শাসনের অবসানের পর শুধু সরকার নয়, ভারত–বাংলাদেশের সামগ্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কই গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বড় সমস্যা হলো শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে সামাজিক মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন। তৃতীয়ত, জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে একপেশে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব আরও উসকে দেওয়া হয়েছে এবং এটিকে রাজনৈতিক গুরুত্বও দেওয়া হয়েছে।’

একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও ভারতবিরোধিতা একটি রাজনৈতিক ‘ট্রাম্প কার্ড’ হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন
বাড্ডায় ‘লং মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানালো ভারত
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ফের তলব

সাম্প্রতিক কূটনৈতিক টানাপোড়েন প্রসঙ্গে পারভেজ করিম বলেন, ‘একই সময়ে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার ও নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করা সম্পর্কের আরও অবনতির ইঙ্গিত দেয়।’

দুই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও সম্পর্ককে প্রভাবিত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারতে পশ্চিমবঙ্গসহ রাজ্য নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। একইভাবে বাংলাদেশেও নির্বাচন সামনে এলে ভারতবিরোধী মনোভাব উসকে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা দেখা যায়।’

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের মেয়াদ যখন দেড় মাসেরও কম, তখন তাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ছিল নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। সাম্প্রতিক সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড আইনশৃঙ্খলার অবনতিরই ইঙ্গিত দেয়। এই সময় ভারতের সঙ্গে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তিক্ততা সৃষ্টি করা সমীচীন নয়।’

তার মতে, একে অপরের অগ্রাধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে সম্মান করে, সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক পরিচালনা করতে পারলেই একটি টেকসই সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব খারাপ হয়ে গেছে—এমন নয় এবং সরকার তা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে, যার প্রমাণ হিসেবে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো প্রতিবেশীর সঙ্গেই তিক্ত সম্পর্ক চায় না এবং বাণিজ্য ও রাজনীতিকে আলাদা করে দেখার নীতিতেই সরকার এগোচ্ছে।

দুই সপ্তাহে যেসব কারণে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গত দুই সপ্তাহে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট স্থানে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনা এই উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে কট্টোর হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন বিক্ষোভ করে এবং কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, এই সময় হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে হুমকিও দেওয়া হয়। পরদিন উভয় পক্ষ একে অপরের হাইকমিশনারকে তলব করলে উত্তেজনা আরও বাড়ে।

২২ ডিসেম্বর ঢাকা নিরাপত্তা ও ‘অনিবার্য কারণ’ উল্লেখ করে দিল্লি ও আগরতলায় সব ভিসা এবং কনস্যুলার সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে। একই দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে তিনটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে হামলা চালায়, কেন্দ্র পরিচালনাকারীদের ভয়ভীতি দেখায় এবং কেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য করে।

এই উত্তেজনা শুধু শিলিগুড়ি ও দিল্লিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি-হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়, বেশ কয়েকজন আহত হন এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়। একই সময় মুম্বাই ও ত্রিপুরায়ও বাংলাদেশ মিশনের কাছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভকারীরা ময়মনসিংহে পোশাক শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ড এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবি জানায়। তারা বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুতুল পোড়ায়। তবে ঢাকা হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ নাকচ করেছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায়।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’কর্মসূচি পালন করে জুলাই ঐক্য নামে একটি সংগঠন। যদিও পুলিশ সেটি আগেই আটকে দেয়। এরপর ইনকিলাম মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রাম ও খুলনা অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনে হামলার চেষ্টা হয়। এতে উদ্বেগ জানায় ভারত।

ঢাকা-দিল্লি উত্তেজনা কমানোর আহ্বান বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে একাধিক বন্ধু রাষ্ট্র। জাপান ও রাশিয়া সরাসরি আহ্বান জানিয়েছে যে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা জরুরি। অন্য দেশও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে একই প্রত্যাশা জানিয়েছে।

জাপানের মতে, বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক সংযুক্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিশ্বাস ও বোঝাপড়ার অবকাশ অপরিহার্য। রাশিয়া তাও মনে করছে যে, এই উত্তেজনা শুধু দুই দেশের সীমাবদ্ধ নয়, এটি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

গত বছর ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি দুই দেশের উত্তেজনার কারণে টোকিওর উদ্বেগ জানান। সম্প্রতি ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিনও বলেন, ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে যে কোনো প্রকার উত্তেজনা যত দ্রুত সম্ভব কমানো প্রয়োজন। তিনি সতর্ক করে বলেন, সমাধান না হলে এটি পুরো অঞ্চলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাশিয়া ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশকেও আলোচনার বিষয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খোজিন। তিনি জানান, মস্কো ও দিল্লি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর পক্ষে এবং এ বিষয়ে ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান উত্তেজনার একটি বড় কারণ হলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে সম্পর্ক ও নীতিগত ভিন্নমত। এর প্রভাবে ঢাকা-নয়াদিল্লির যোগাযোগ ও সহযোগিতা অনেকাংশেই ব্যাহত হয়েছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশিদের ভিসা স্থগিতকরণ এবং আন্তঃসীমান্ত ট্রেন সংযোগ স্থগিত হওয়ার কারণে দুই দেশের বাণিজ্য ও জনগণের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ঢাকায় কর্মরত এক কূটনীতিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক মানচিত্রকে প্রভাবিত করছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, উভয় পক্ষ খোলাখুলি আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে।’

জেপিআই/এএসএ/এমএফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।