আজিমপুর কবরস্থানে প্রবেশের প্রধান ফটক বন্ধ


প্রকাশিত: ০৬:৫৭ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

আজিমপুর সরকারি পুরাতন কবরস্থানে প্রবেশের প্রধান ফটকটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গেইট সংলগ্ন পুরাতন অফিসে ভাঙার কাজ চলছে। এ পথে চলাচলকারী পথচারীরা হঠাৎ প্রধান এই গেইটটি বন্ধ দেখে থমকে দাঁড়াচ্ছেন। কেন গেইটটি বন্ধ এবং কি কারণে গেইট সংলগ্ন অফিস ভাঙচুরের কাজ চলছে এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।
 
আজিমপুর কবরস্থানের জ্যেষ্ঠ মোহরার মিজানুর রহমান সোমবার জাগো নিউজকে জানান, প্রধান গেইট সংলগ্ন স্থানে দোতলা আধুনিক গেইট হাউজ নির্মিত হবে। এ কারণে বহু বছরের পুরাতন অফিসটি ভাঙার কাজ চলছে।

সংস্কারের কাজ চলার সময় ইটের আঘাতে যেন কেউ আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সে জন্য প্রধান গেইটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে প্রধান ফটকের অদূরে পুর্ব দিকে কবরস্থানে প্রবেশের গেইটটি খোলা রয়েছে। বর্তমানে দাফনের জন্য আনা লাশগুলো ওই গেইট দিয়ে প্রবেশ করছে।
 
প্রধান ফটক বন্ধ ও অফিস কক্ষ ভাঙচুরের ফলে লাশ দাফন কাফনে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পুরোনো অফিসের পাশে টিনের ছাপড়া ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ফলে কোন প্রকার সমস্যা হচ্ছে না।

সরেজমিন পরির্দশনকালে আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানের মূল ফটকটি বন্ধ দেখা গেছে। ভেতরে পুরাতন ভবন ভাঙার ইটপাথরের স্তুপ জমে আছে। বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব দিকের যে গেইট দিয়ে লাশ প্রবেশ করানো হচ্ছে সেখানে নতুন দোতলা একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গেইট হাউজ ও মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বর্তমানে অন্যতম বৃহৎ সরকারি এই কবরস্থানে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০টি লাশ দাফন হচ্ছে। বর্তমানে লাশ দাফন সংক্রান্ত দাফতরিক কার্যক্রম প্রধান ফটক সংলগ্ন ছোট ছোট দুটি কক্ষে পরিচালিত হচ্ছে। ক্ষুদ্র পরিসরের দফতরে দাফন সংক্রান্ত তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়।

কবরস্থানের একাধিক কর্মচারী জানান, স্থানাভাবে লাশ দাফন করতে আসা লোকজনের আত্মীয়-স্বজনরা বসতে পারেন না। তাছাড়া বহু বছরের পুরোনো হওয়ায় ভবনটির আস্তর খসে পড়ছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে কাগজপত্র ভিজে যায়। এ সব কারণে ডিসিসির কাছে বড় পরিসরে গেইট হাউজ নির্মাণের আবেদন করা হয়।

মোহরার মিজানুর রহমান জানান, প্রতিদিন কবরস্থানে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাবা, মা, ভাই, বোন, দাদা, দাদিসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করতে আসেন। আজানের সময় হলে তারা বর্তমানে কবরস্থানে যে মসজিদটি রয়েছে সেটিতেই নামাজ আদায় করেন।

শুক্রবারসহ অন্য যেদিন বেশি মানুষ আসে সেদিন মসজিদে জায়গা হয় না। দোতলা নতুন মসজিদটি নির্মিত হলে এ সমস্যা দূর হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এমইউ/এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।