ইন্সপেক্টর নয়, গুলশান থানার ওসির দায়িত্বে এএসপি


প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সম্প্রতি সারাদেশের থানার ওসি পদে সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) নিয়োগের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আলোচনা করছিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। তবে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের এই সিদ্ধান্তে দেশের পুলিশের ইন্সপেক্টরদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

২০১৬ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গুলশান থানার ওসি ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক চকবাজার থানার ওসি ইন্সপেক্টর শামীম অর রশীদ তালুকদারের নেতৃত্বে ঢাকার ১০ থানার ওসি একসঙ্গে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে গিয়ে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। থানার ওসি হিসেবে ইন্সপেক্টরদের পদে রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন তারা।

ইন্সপেক্টরদের যৌক্তিকতা শুনে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। তবে অবশেষে এএসপি’র কাঁধেই তুলে দেয়া হয়েছে গুলশান থানার দায়িত্ব। শনিবার ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এএসপি মো. সিরাজুল ইসলামকে।

মো. সিরাজুল ইসলাম আগেও গুলশান থানার ওসি ছিলেন। তবে তখন তিনি ইন্সপেক্টর ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে সিরাজুল ইসলামসহ বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় ৮১ ইন্সপেক্টরকে এএসপি পদে পদন্নোতি দেয়া হয়।

শনিবারের সিদ্ধান্তের পর ঢাকার ওসিরা ধারণা করছেন অচিরে তাদের সরিয়ে থানার দায়িত্বে এএসপিদের দেয়া হবে। জাগো নিউজের সঙ্গে ডিএমপির ৩ জন ইন্সপেক্টরের সঙ্গে কথা হলেও তারা এএসপিদের ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজী হননি।

শনিবারের অফিস আদেশে মো. মাহবুবুল আলমকে অর্গানাইজড ক্রাইম, মো. ফজলুর রহমানকে গোয়েন্দা-দক্ষিণ বিভাগ, মো. আজিজুল হককে ক্রাইম কন্ট্রোল এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার, মো. মাহবুব উর রশীদকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট-স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপে এবং মো. আকরাম হাসানকে ডেমরা বিভাগের পেট্রোল এসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

এআর/এআরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।