অডিট বিভাগের ৪৪৮ কর্মকর্তার পদোন্নতি
অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের প্রথম শ্রেণি পদে চলতি দায়িত্বে থাকা ৪৪৮ কর্মকর্তা স্থায়ী পদোন্নতি পেয়েছেন। নানা জটিলতায় প্রায় আট বছর আটকে থাকার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের হস্তক্ষেপে সম্প্রতি বাংলাদেশ অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের এসব কর্মকর্তা প্রথম শ্রেণি (নন-ক্যাডার) পদে পদোন্নতি পেলেন।
সূত্র জানায়, পদোন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শূন্য পদ থাকলেও দ্বিতীয় শ্রেণির পদের জ্যেষ্ঠতা নিয়ে কতিপয় কর্মকর্তার করা মামলার কারণে সব ধরনের যোগ্যতা থাকলেও ১৯৯৮ হতে ২০০৫ ব্যাচের এসএএস সুপারিনটেনডেন্টরা প্রথম শ্রেণি পদে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিবাদমান দু’টি গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতা হয়। এ সমঝোতার পরিপ্রেক্ষিতে উভয় গ্রুপ তাদের মামলা তুলে নিতে সম্মত হন।
পদোন্নতির জন্য একমাত্র বাধা এই মামলার নিষ্পত্তিতে এসএএস সুপারিনটেনডেন্টদের প্রথম শ্রেণিতে পদোন্নতি পাওয়ার পথ সুগম হয়। ফলে কর্মকর্তা পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দের পদোন্নতির বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা, সিএজি এবং তার কার্যালয়ের আন্তরিকতা সর্বোপরি অর্থমন্ত্রীর অনুরোধে পিএসসি মাত্র দেড় মাসে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক কর্মকর্তাকে প্রথম শ্রেণি পদে পদোন্নতির জন্য সিএজিকে সুপারিশ করে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সময়ে এসব কর্মকর্তা প্রথম শ্রেণিতে পদোন্নতির যোগ্য ছিলেন। কিন্তু মামলা থাকার কারণে ঢাকাস্থ অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের বিভিন্ন দফতর, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা অফিসে প্রায় আট বছর প্রথম শ্রেণি পদে চলতি দায়িত্বে ছিলেন।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তারা মূলত সরকারের পক্ষে আর্থিক দাবি-দাওয়া পরিশোধ, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, উৎসে আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর আহরণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। দীর্ঘদিন পর পদোন্নতিতে এসব কর্মকর্তার মাঝে জমে থাকা অস্থিরতা ও হতাশা দূর হয়েছে।
এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অত্যন্ত আনন্দিত। অর্থমন্ত্রীও দ্রুততার সঙ্গে পিএসসি এসব কর্মকর্তাকে পদোন্নতি প্রদান করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিএ/এমএস