নতুন জামা পরে বাড়ি ফিরছে তৌফা-তহুরা
বাড়ি ফেরার প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। চিকিৎসকদের দেওয়া নতুন জামা, চুড়ি, জুতা, মাথায় ব্যান পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে অপেক্ষায় তৌফা-তহুরা। তাদের মা সাহিদা বেগম পরেছেন চিকিৎসকদের দেওয়া নতুন শাড়ি ও বাবা রাজু মিয়া পরেছেন নতুন লুঙ্গি-শার্ট।
রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ৬৮ নম্বর কেবিনে বেলা সোয়া ১১টায় বাবা-মায়ের কোলে নতুন সাজে দেখা গেলো কোমরের কাছে জোড়া লাগানো অবস্থায় জন্ম নেওয়া তৌফা-তহুরাকে। ঢামেক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের পৃথক করা হয়।
তৌফা-তহুরাকে বিদায় দিতে এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিদায় জানাবে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে শিশুদের মা সাহিদা বেগম জাগো নিউজকে জানান, গত রাতে তৌফা-তহুরার চিকিৎসার তত্ত্বাধায়ক অধ্যাপক শাহনূর ইসলাম তাদের সবাইকে এই পোশাক দিয়ে গেছেন। নতুন জামা পরে বেশ হাসি-খুশি তৌফা-তহুরা।
তিনি জানান, তাদের বাড়ি ফেরার সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন চিকিৎসকরা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটি দেওয়ার জন্য দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে আসবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সরাসরি তারা গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যাবেন বলেও জানালেন সাহিদা বেগম।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের ঝিনিয়া গ্রামের রাজু মিয়ার স্ত্রী সাহিদা বেগম নিজ বাড়িতে শরীর জোড়া লাগানো অবস্থায় তৌফা-তহুরার জন্ম দেন।
কোমরের কাছে জোড়া লাগানো শিশু দুটির সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই ছিল। তবে জন্ম থেকেই তাদের প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা একটি ছিল। গত বছরের অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে প্রথমবার ঢামেক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে তাদের পায়ুপথের রাস্তা পৃথক করা হয়। পরবর্তীতে গত ৩ আগস্ট বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই বোনকে পৃথক করা হয়। সাহিদা বেগম ও রাজু মিয়া দম্পতির পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
জেইউ/এসআর/এমএস