জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় ভিক্ষুক ছিল তুলনামূলক কম
আনন্দ-উৎসব আর যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ (শনিবার) সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সকালে ঈদের নামাজ শেষে যে যার মতো আনন্দে মেতেছেন। এদিকে ঈদ উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছর ভিক্ষুকদের হাত যেন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। এ সময় রাজধানীতে ভিক্ষুকের সংখ্যাও বেড়ে যায়। তবে এবারের ঈদুল ফিতরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান এলাকার চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম। জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন। সেখানে রাষ্ট্রপতিসহ ভিভিআইপি ও ভিআইপিরা ঈদের নামাজ আদায় করায় ঈদগাহ এর আশপাশে বসার সুযোগ পায়নি ভিক্ষুকরা। এমনকি তারা ( ভিক্ষুকরা) ঈদগাহ'র সামনের সড়ক, মৎস্য ভবন, শিক্ষা ভবন, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটের আশে পাশেও আসতে পারেনি। পরে অবশ্য সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকায় কিছু ভিক্ষুককে দেখা যায়।
আজ জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। এরপরে মোনাজাত এবং গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিরা বের না হওয়া পর্যন্ত ভিক্ষুকরা এসব রাস্তায় বসতে পারেনি। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের সামনে ও আশেপাশের সড়কে শত-শত ভিক্ষুক ঠিকই দেখা যায়।
প্রত্যেক বছর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানকে ঘিরে বহু মানুষ ভিক্ষা করলেও এবার ছিল ব্যতিক্রম। আজ সেখানে ভিক্ষুক ছিল না বললেই চলে। কঠোর নিরাপত্তা বলয় থাকায় ভিক্ষুকরা ঈদগাহের সামনের সড়কে এমনকি মৎস্য ভবন, শিক্ষা ভবন, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটের আশে পাশে আসতে পারেনি। এক কথায় বলতে গেলে ভিক্ষুকমুক্ত ছিল জাতীয় ঈদগাহ এলাকা।

গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, আজ ঈদগাহ ময়দানকে ঘিরে নিরাপত্তা ছিল কঠোর এবং রাস্তা ক্লিয়ার রাখার জন্য নামাজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভিক্ষুকদের মৎস্য ভবন, শিক্ষা ভবন, মাজার গেট এবং প্রেসক্লাব এরিয়ার মধ্যে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে রাজধানীকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপে টাঙানো হয়েছে রঙবেরঙের পতাকা। পাশাপাশি সব সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক লেখা খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বহু মানুষ গ্রামের বাড়ি যাওয়ায় রাজধানী এখন অনেকটাই ফাঁকা। আজ বড় বড় সড়ক দিয়ে রিকশা চলছে। বড়দের সঙ্গে নতুন আর বাহারি পোশাক পরে শিশুরা মেতেছে ঈদ আনন্দে। পাড়া–মহল্লায় বাড়ি বাড়ি বেড়াচ্ছেন অনেকেই।
এছাড়া ঈদ উপলক্ষে সরকারি হাসপাতাল, জেলখানা, ভবঘুরে কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম ও শিশুসদনে আজ বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে ও প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। দেশের সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিওগুলো আয়োজন করেছে কয়েক দিনব্যাপী ঈদ অনুষ্ঠান।
এফএইচ/এমএমজেড/এমএস