বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় মুসলমানদের এক উম্মাহে পরিণত হতে হবে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৯

সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক বলেছেন, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুসলমানদের এক উম্মাহ’য় পরিণত হতে হবে। যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে কিংবা করে না, সবাই আল্লাহর সৃষ্টি। তাই সৃষ্টিকে ভালোবাসতে হবে। নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিহাদ।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব শান্তি : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমাদ বিন ঈসা আল হাযেমীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল সভায় অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আল হাযেমী বলেন, ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান নেই। ইসলাম শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধের ধর্ম। মুসলমানগণ নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি না করে পরস্পর ভাইয়ের মতো থাকবে, এটাই সঠিক পথ। রাসূল (সা.) এর নির্দেশিত পথ।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম মধ্যপন্থার ধর্ম। এখানে সন্ত্রাস, মারামারি ও হাঙ্গামার স্থান নেই। সৌদি আরব সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সৌদি আরব এই নীতি অনুসরণ করে এবং এই শিক্ষাই সকল মুসলমানকে দিতে চায়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সৌদি ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, সৌদি বাদশাহ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয়ই ইসলাম ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের বহুদিনের সম্পর্ক। এ সম্পর্ক বর্তমানে অত্যন্ত দৃঢ় ও মজবুত।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ বি এম আমিনউল্লাহ নূরী সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আলেম-ওলামা, ইসলামী স্কলার ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এর আগে সৌদি ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে যোহরের নামাজে ইমামতি করেন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এমইউ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।