করোনার লাইভ বুলেটিন বন্ধ : ৪টার মধ্যে বিজ্ঞপ্তি যাবে গণমাধ্যমে
গত প্রায় চারমাস ধরে প্রতিদিন দুপুর আড়াইটায় লাইভ ব্রিফিংয়ে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ে তথ্য দিয়ে আসছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ ব্রিফিংটি করতেন। নিয়মিত এ ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় কতটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, শনাক্ত, সুস্থ ও মৃত্যুর হার কত, পুরুষ, নারী ও কতজন শিশু মারা গেছেন ইত্যাদি তথ্য একসঙ্গে পেতেন বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য বুলেটিনে ঘোষণা আসে বুধবার (১২ আগস্ট) থেকে স্বাস্থ্য বুলেটিন আর লাইভ পরিবেশিত হবে না। স্বাস্থ্য বুলেটিনের বদলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে।
গণমাধ্যমকর্মীরা বলছেন, বর্তমানে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে দ্রুত পাঠক ও দর্শকদের অবহিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। সেক্ষেত্রে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আগে কিংবা পরে দেয়া হলে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কীভাবে এবং কখন দেয়া হবে, সে বিষয়ে জানতে বুধবার সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সারাদেশ থেকে আসা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নির্ভুলভাবে বুলেটিন আকারে তৈরি করতে দুপুর হয়ে যায়। এ কারণেই প্রতিদিন দুপুর আড়াইটায় ব্রিফিং হতো। আজ থেকে যেহেতু ব্রিফিং হবে না, সে কারণে যতদ্রুত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করা যায়, ততদ্রুত বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হবে।
নির্দিষ্ট কোনো সময় ঠিক করেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিকেল ৪টার মধ্যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে। কোনো ধরনের বিতর্ক এড়াতে একযোগে সকল গণমাধ্যমে ই-মেইল করে এই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে।’
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১১ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের ৮৪টি সরকারি ও বেসরকারি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তে ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩ জনের করোনা ধরা পড়ে।
গত ১৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৪৭১ জনের।
এমইউ/এসআর/জেআইএম