করোনায় মৃতের শীর্ষে ঢাকা, সর্বনিম্নে ময়মনসিংহ
রাজধানীসহ সারাদেশে শনিবার (২৯ আগস্ট) পর্যন্ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সর্বমোট চার হাজার ২০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৩০০ জন (৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ) এবং নারী ৯০৬ জন (২১ দশমিক ৫৪ শতাংশ)।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনায় মোট মারা যাওয়া চার হাজার ২০৬ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ৩০ জন (৪৮ দশমিক ২৬ শতাংশ) এবং সবচেয়ে কম মৃতের সংখ্যা ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৯ জন (২ দশমিক ১২ শতাংশ)।
এছাড়া অন্যান্য বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৯২০ জন (২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ), রাজশাহী বিভাগে ২৭৯ জন (৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ), খুলনা বিভাগে ৩৪৮ জন (৮ দশমিক ২৭ শতাংশ), বরিশাল বিভাগে ১৬৫ জন (৩ দশমিক ৯২ শতাংশ), সিলেট বিভাগে ১৯১ জন (৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ) এবং রংপুর বিভাগে ১৮৪ জন (৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ)।
বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট করোনায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নয়জন, খুলনা বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে পাঁচজন, সিলেট বিভাগে তিনজন এবং রংপুর বিভাগের তিনজন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ৯২টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৪৩৮টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১১ হাজার ৬৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই হাজার ১৩১ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ আট হাজার ৯২৫ জনে। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৮১৫টি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ২৭ জন। ফলে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯৮ হাজার ৮৬৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এমইউ/এমএআর/এমএস