২৪ ঘণ্টায় করোনায় সুস্থ ৭৬ শতাংশেরও বেশি
রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সুস্থতার হার বেড়েছে। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৯৬ জন। সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৭৮ হাজার ৬২৭ জন।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮০ জন, রংপুর বিভাগে ৪৬ জন, খুলনা বিভাগে ৪২৭ জন, বরিশাল বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯৩ জন, সিলেট বিভাগে ৪১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১৬ জন রয়েছেন।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন ও নারী পাঁচজন। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৩০৫ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯টি পরীক্ষাগারে ১১ হাজার ৫০৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১১ হাজার ১৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৯৬ জন।
ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৩ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭০ হাজার ২৫১টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ১০৪ জন (৭৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ২০১ জন (২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ)।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৩ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৩ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, ৩৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রামে ছয়জন, রাজশাহীতে তিনজন, খুলনায় একজন, বরিশাল একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন।
এমইউ/বিএ/জেআইএম
