পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি : অর্থমন্ত্রী
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (০৬ জানুয়ারি) সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় আসার দুই বছরপূর্তি হলো এটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কতটা করলাম আর কতটা করতে পারলাম না সেটার মূল্যায়ন তো আপনারা করবেন। আমার কাজ হচ্ছে দেশ ও দেশের প্রতিটা নাগরিকের জন্য কাজ করা।’
পুঁজিবাজার ও রাজস্ব আয় নিয়ে আপনি কি চ্যালেঞ্জ দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি অনেকগুলো প্যারামিটারের ওপর নির্ভরশীল। আমরা যে সময় বাজেট ঠিক করি সে সময় আমাদের ভাবনা ছিল একরকম, আমাদের ভাবনার পরিবর্তন আসছে। সেজন্য বাজেটের সংশোধন আনার প্রয়োজন আছে। হয়তো এখানে ওখানে আমাদের হাত দিতে হতো। এটা খুবই স্বাভাবিক ও সঙ্গত। আমরা পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি, ভালো করছি, আমি বিশ্বাস করি এই ভালোটা থাকবে। কারণ আমাদের অর্থনীতি নতুন, আমরা নতুন অর্থনীতি শুরু করেছি। অন্যদের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন আমরা সেভাবে কাজ করছি। সেখানে চোখে পড়ার মতো কোনো ঘাটতি আমাদের দেখাতে পারবেন না। আমদানি কমে গেছে, যদি আমদানি বেশি থাকত, তাহলে আমাদের ডিউটি বাড়ত। আমাদের আয়করের রেশিও ভালো আছে। তুলনামূলক আমরা অনেক দেশের চেয়ে ভালো আছি।’
পুঁজিবাজার নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যদি বিদেশি বিনিয়োগ থাকত তাহলে তারা যে কোনো মুহূর্তে পুঁজি তুলে নিতে পারত। যেটা আমরা ১৯৯৭ সালে দেখেছি। সাউথ এশিয়ার সঙ্গে যেটা হলো। সে সময় বিদেশিদের টাকা তারা তুলে নিয়ে যাওয়ায় অর্থনীতি বসে গেছে। আমাদের এ ধরনের চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ আমাদের ফিসক্যাল পলিসি ও মনিটারি পলিসি, বাজেট, ফাইভ ইয়ার প্ল্যান সঠিক আছে। সেজন্য আমরা ভালো আছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরমুখিতা কম, আমাদের উন্নয়ন না বাড়ালে বন্ধ হয়ে যাবে এ ধরনের কোনো কিছু নেই। আমরা আমাদের দেশে চাহিদা ও জনগণের চাহিদা সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত আছি। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।’
বিশ্বব্যাংক আমাদের জিডিপির গ্রোথ ডাউন করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংককে আপনি ডাউন করে দেন। বিশ্বব্যাংক কি উদ্দেশ্যে এগুলো বলে আমি জানি, বিশ্বব্যাংকও জানে। বিশ্বব্যাংক আর আইএমএফ তো একই বিল্ডিংয়ে। এরা দুজন একইভাবে বলে। সপ্তাহে সপ্তাহে সেটা চেঞ্জও করে। মাসে কবার চেঞ্জ করে বলেন? একটার সঙ্গে আরেকটার কি মিল আছে? তারাই তো করেছে।’
আইএইচআর/এআরএ/এমএস