রাজধানীতে চলাচল করা গাড়ি গণপরিবহন নয় : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
লকডাউনের মধ্যে রাজধানীতে চলাচল করা বিভিন্ন ধরনের গাড়ি গণপরিবহন নয় জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘অফিসের সাথে তাদের চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, কর্মকর্তাদের আনা-নেয়ার জন্য শুধু গাড়িগুলো ব্যবহার হচ্ছে।’
সোমবার (৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় সোমবার সকাল ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত থাকবে এই লকডাউন।
লকডাউনেও রাজধানীতে গাড়ি চলতে দেখা গেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীতে গণপরিবহন নেই। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন সেটি। যদি চলে, বিভিন্ন অফিসে তাদের প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা এনে সীমিত পরিসরে তাদের প্রয়োজন অনুসারে অফিস পরিচালনা করবেন, সে ক্ষেত্রে এই পরিবহনগুলো তারা নিজেরা ব্যবস্থা করেছেন, এগুলো গণপরিবহন নয়। অফিসের সাথে তাদের চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, কর্মকর্তাদের আনা-নেয়ার জন্য শুধু ব্যবহার হচ্ছে।’
দূরপাল্লার গাড়িও ছেড়ে গেছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যদি সেটি হয় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কেন বইমেলা খোলা রাখা হচ্ছে- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘গণপরিবহন চলছে না কিন্তু রিকশা চলছে। রিকশার ওপর আমাদের কোনো বিধিনিষেধ নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিকশা কিন্তু অন্যান্য যানের চাইতে অনেক নিরাপদ। কারণ খুবই কম আক্রান্ত হয়। রিকশাওয়ালা এবং প্যাসেঞ্জারের মধ্যে দূরত্ব থাকে, এ জন্য সেটি কিন্তু খুব কম ঝুঁকিপূর্ণ।’
‘বইমেলা স্বাস্থ্যবিধি মেনে করবেন, কর্তৃপক্ষ কঠোর নজরদারিতে রাখবেন, সেক্ষেত্রে কেউ যাতে এখানে বেড়াতে না আসে। বই কেনার উদ্দেশ্যেই আসবেন। এটাকে অন্যভাবে বা বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বা ঘুরে বেড়ানো- এ রকম কোনো সুযোগ এখানে থাকবে না। অত্যন্ত কঠোরতা রাখা হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে তারা তাদের বইটি কিনে আবার গন্তব্যে ফিরে যাবেন। সেভাবেই কর্তৃপক্ষ দায়-দায়িত্ব নিয়েছে, আমরাও সেটি মনিটরিং করব।’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাঠ প্রশাসন এবং সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যারা রয়েছেন এবং পুলিশ প্রশাসন, তারা অত্যন্ত কঠোরভাবে তাদের ওপর যে নির্দেশনা আছে সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন। এখানে সেটির কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের গতিবিধিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, কারণ মানুষ যতই বাইরে আসবে ততই এ সংক্রমণ বেড়ে যাবে। আজকে সকাল থেকেই আমরা দেখতে পাচ্ছি আগের অবস্থা থেকে এখনকার অবস্থা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সবাইকেই সহযোগিতা করতে হবে, সংক্রমণ যাতে করে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এবার আমরা দেখছি সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সে ক্ষেত্রে সবাই সংযত আচরণ করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
সচিবালয়ে সব মন্ত্রণালয় খোলা আছে কিনা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজন যেগুলো সেগুলো খোলা আছে। আমাদের আগের যে নির্দেশনা সেখানে ৫০ ভাগ বলা আছে, সে অনুযায়ী আমরা চাইলে আরও কমাতে পারি, প্রয়োজন অনুযায়ী সেখানে জনবল রাখতে হবে।’
আরএমএম/বিএ/এমএস