চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ অব্যাহত
করোনাকালে চলাচলে কড়াকড়ি করায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু মানুষ। দুর্ভোগে পড়ারাসহ নগরের নিম্ন আয়ের ও অসচ্ছল মানুষের কাছে গত তিন দিন ধরে ত্রাণ বিতরণ করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ (শুক্রবার) চট্টগ্রাম নগরে নিম্ন আয়ের এক হাজার মানুষের নিকট জেলা প্রশাসনের উপহারসামগ্রী (ত্রাণ) এবং ২০৬ জনের মাঝে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও জিমনেশিয়াম হলে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ।
এ সময় তিনি বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন নগর ও উপজেলায় অসচ্ছল মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। হতদরিদ্র কোনো পরিবার যাতে সরকারি সহায়তার বাইরে না থাকে সে ব্যাপারে কঠোরভাবে তদারকি করা হবে। লকডাউনে কেউ যাতে উপোষ না থাকে সে বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ কামাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, মাসুদ রানা, আশরাফুল আলম, ও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব চক্রবর্তী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনাকালে কেউ যাতে অনাহারে না থাকে সেটা দেখার জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য গত বুধবার থেকেই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কিছু অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়েও ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। শুধু মহানগর নয়, উপজেলা পর্যায়েও এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন বলেন, সাহায্য চেয়ে আমাদের কাছে যারা টেলিফোন করছেন বা এসএমএস দিচ্ছেন তাদেরকেও ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সবাই কাজে ফিরে যাব। লকডাউনে একেবারে কর্মহীন হয়েপড়া মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের ধনার্ঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা উচিৎ।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের প্রদান করা ওই উপহারের প্রতি প্যাকেটে ছিল- সাত কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি আলু, এক কেজি চিনি ও একটি সাবান।
এছাড়া এসব ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন- স্বেচ্ছাসেবক টিম বেটার ফিউচার বাংলাদেশ, পুর্বাশার আলো, রেড ক্রিসেন্ট, তৃণমুল নাট্যদল, সার্চ, নির্বাণ ক্লাব ও সিপিপি প্রতিনিধিরা।
মিজানুর রহমান/এমআরএম/জেআইএম