সময়ের চাহিদা পূরণে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সকল প্রতিষ্ঠানসমূহের আইনগুলোকে সময়ের চাহিদা পূরণের জন্য সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে চলমান কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে দেশেল সকল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেনসহ বিশ্বের অনেক দেশ সময়ের প্রেক্ষিতে এবং জনমানুষের শান্তি কামনায় নতুন নতুন আইন প্রবর্তন এবং আগের আইনগুলোকে সংস্কার ও পরিবর্তন করেছে। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, বর্তমান প্রেক্ষাপটসহ সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আইনগুলোকে সময় উপযোগী এবং শক্তিশালী করতে সংস্কার/কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে তার মন্ত্রণালয় বেশকিছু উদ্যোগ নিচ্ছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান/অধিদফতর সাধারণ মানুষকে নিবিড়ভাবে সেবাদান করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের আর্থ-সামাজিকসহ অনেক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। করোনা মহামারির এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলমান উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। অন্যথায় বিশাল সংখ্যক শ্রমজীবি মানুষ আয় বঞ্চিত হলে গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক অবস্থা কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীণ হবে।’
এ কারণে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনলাইনে সভা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রাখতে সবাইকে উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রদানের পাশাপাশি নিজ নিজ দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করার জন্য নির্দেশনা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘যত বড় দুর্যোগই আসুক না কেন সরকারের সঙ্গে দেশের মানুষ একত্র হয়ে কাজ করলে সকল বাধা উপেক্ষা করে দেশ স্বমহিমায় উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করে মানুষের জীবন-জীবিকা সমুন্নত রেখে উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।’
‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রধানমন্ত্রীর দর্শন বাস্তবায়নের জন্য সকল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শহরের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে সরকার নিরলস কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রোগ্রামের ফলে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানসহ অসহায় গরিব-দুস্থ ও ছ্ন্নিমূল মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন এসেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্ষমতায়ন এবং জবাবদিহি করতে হবে। সকল মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে দেশ কখনই পিছিয়ে থাকবে না।’
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সকল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় অংশ নেন।
আইএইচআর/ইএ/এএসএম