রিকশাচালক মাস্ক পরলেও পরেননি যাত্রী, জরিমানা ৩০০
সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে চলছিল র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এমন সময় কাটাবনের দিক থেকে আসা একটি রিকশায় একজন যাত্রীকে দেখতে পাওয়া যায় যিনি মাস্ক পরেননি। কিন্তু রিকশাচালক ঠিকই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে রিকশা চালাচ্ছিলেন।
শাহবাগ মোড় অতিক্রম করার সময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নজরে আসে রিকশাটি। তৎক্ষণাৎ তিনি ওই রিকশাটি ডেকে যাত্রীকে বিনামূল্যে মাস্ক দেন এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা করেন ৩০০ টাকা।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জরিমানার কারণ জানতে চাইলে রিকশাযাত্রী ফারুক হোসেন জানান, তিনি কাটাবন থেকে রিকশায় উঠে পল্টনের একটি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। বাসা থেকে মাস্ক না নেয়ায় দোকান থেকে মাস্ক কিনতে গিয়েছিলেন কিন্তু দোকান বন্ধ থাকায় তিনি মাস্ক কিনতে পারেননি।
র্যাবের জরিমানার যৌক্তিকতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাকে যে কারণে জরিমানা করেছে তা ঠিক আছে। তবে একটি মাস্কের জন্য ৩০০ টাকা জরিমানা করা হলো। এটি আমার কাছে কষ্টদায়ক লেগেছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জাগো নিউজকে বলেন, একজন রিকশাচালক ভাই যদি সরকারের দেয়া লকডাউনকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে মাস্ক পরতে পারেন তাহলে শিক্ষিত যাত্রীরা কেন মাস্ক পরবেন না। আর যাকে জরিমানা করা হয়েছে তিনি একটি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, হাসপাতাল করোনার জন্য আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রিকশাযাত্রীকে ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, এ রকম আরও ১২-১৩ জন রিকশাযাত্রীকে জরিমানা করা হয়েছে। যারা অপরিচিতদের সঙ্গে রিকশা শেয়ারে ভাড়ায় উঠেছেন। অনেকে জরুরি সেবার নাম করে বের হয়েছেন যদিও তারা জরুরি সেবার কাগজপত্র কিংবা আইডি কার্ড দেখাতে পারেননি।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, আগের চেয়ে মানুষের চলাচল কমেছে। জরুরি ছাড়া খুব কম মানুষই বের হচ্ছেন। তবে যথোপযুক্ত জবাব ছাড়া কাউকে পার হতে দেয়া হচ্ছে না। যথোপযুক্ত কারণ ছাড়া যারাই বের হচ্ছেন তাদের জরিমানাসহ আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জরিমানার শিকার ব্যক্তিদের অজুহাত সম্পর্কে জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, কেউ স্টেডিয়ামে খেলার সরঞ্জাম কিনতে, কেউ পুরান ঢাকায় কেনাকাটা করতে, আবার এক চেক ভাঙাতে ব্যাংকে যাচ্ছেন একসঙ্গে তিনজন। এজন্য জরিমানা করা হয়েছে। যারা করোনার বিধি-নিষেধ মানছে না তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর হুঁশিয়ারি। করোনায় ঘরে থাকুন, মাস্ক পরুন, অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বের হবেন না।
টিটি/এমআরএম