গণপরিবহনে মাস্ক পরায় অনীহা, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি
গত ১১ আগস্ট থেকে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। স্বাভাবিক সময়ের ভাড়ায় ফিরে এসেছে গণপরিবহন। তবে পরিবহন চললেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ‘দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না’ এ মর্মে নির্দেশনা দিয়েছিল।বিআরটিএর সে নির্দেশনা এখন শুধু কাগজে-কলমে। প্রায় প্রতিটি পরিবহনেই নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। ভাড়া কম না নিলেও দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়া বন্ধ হয়নি।
অন্যদিকে গণপরিবহনে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। বাসগুলোতে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়া হচ্ছে। আবার অধিকাংশ যাত্রী মাস্ক পরলেও বেশিরভাগই মাস্ক ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি মানছেন না। তারা থুতনিতে রাখছেন মাস্ক, কেউ কেউ নাক বাদ দিয়ে শুধু মুখ ঢেকে রেখেছেন। যাত্রীদের একটি অংশ আবার মাস্কবিহীন চলাচল করছেন।
সোমবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, পল্টন, মালিবাগ, রামপুরা, বাসাবো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। অনেক জায়গায় দেখা যায়, বাসচালক মাস্ক ব্যবহার করলেও তার সহকারীর মাস্ক নেই। যাত্রীদের অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করলেও সেগুলো রেখেছেন শুধু থুতনিতে।
তুরাগ পরিবহনের হেলপার সুমন বলেন, ‘মাস্ক পরলে যাত্রীরা কথা শুনতে পান না। আমরা সারাক্ষণ কথা বলি, তাই মাস্ক দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা সম্ভব হয় না।’
রাইদা পরিবহনের হেলপার শফিক মাস্ক ছাড়াই যাত্রী সেবায় নিয়োজিত। তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরা ভালো তবে এতে অসুবিধাও আছে। আমার কথা যাত্রীরা শুনতে পান না। তাছাড়া অনেক যাত্রীও আর মাস্ক পরছেন না।’
তবে যাত্রীদের একটা বড় অংশই মাস্ক ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে কথা হয় নূর-এ মক্কা পরিবহনের যাত্রী সুলাইমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতি এখননো ভালো অবস্থায় আসেনি। এ অবস্থায় আমরা সচেতন না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।’
মাস্ক ব্যবহারে অনীহা এমন যাত্রীদের সংখ্যাও কম না। তাদের একজন জয়নাল আবেদিন। রাইদা পরিবহনযোগে কমলাপুর যাবেন। তিনি বলেন, ‘এখন পরিবেশ ভালো দেখেই সরকার সব চালু করেছে। তবে মাস্ক পরলে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। দম বন্ধ হয়ে মারা যাবার মতো অবস্থা তৈরি হয়। তবে ওইটা পরতে পারলে ভালো।’
অপরদিকে রাস্তায় চলাচলরত পথচারীদের বেশিরভাগই মাস্ক ছাড়া দেখা গেছে। একই অবস্থা তৈরি হয়েছে পাড়া-মহল্লায় বসা অস্থায়ী ছোট ছোট বাজারগুলোতেও। সেখানেও নেই স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক ছাড়াই নিত্যপণ্য কেনাকাটা করছেন সবাই।
ইএআর/ইএ/এমকেএইচ