বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৪৭৬ কোটি টাকা দেবে আইডিবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৪ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ঢাকার এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও আইডিবির মধ্যে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়

দেশের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরকে নিরাপদ স্যানিটেশন ও হাইজিন সেবার আওতায় আনা হবে। সমন্বিত কঠিন ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ইসলামিক ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) অর্থায়নে। এখাতে ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে আইডিবি। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৭৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ১৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও আইডিবির মধ্যে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বাংলাদেশের ১০টি অগ্রাধিকারভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন (সমন্বিত কঠিন ও মানববর্জ্য) প্রকল্পের আওতায় ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে সংস্থাটি। প্রকল্পটি চলতি বছরের (২০২২ সালের) জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্প এলাকা (শহর): নরসিংদী, জামালপুর, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য: স্যানিটেশন অবকাঠামো ও এর পরিষেবাদি নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি স্যানিটেশন কর্মীদের পেশাগত সুরক্ষা জনগণের সম্পৃক্ততা ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক ঝুঁকি নিরসন করা। এর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত দূষণরোধ ও পানিবাহিত রোগের বিস্তার প্রতিহত করা যাবে। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ, উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক, জলবায়ু ও দুর্যোগ নিরোধক স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিষেবাগুলির সার্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চত করা হবে। উদ্যোগী ব্যবসায়িক মডেল প্রস্তুতকরণ, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিক স্যানিটেশন কর্মীদের জীবন ও জীবিকার সুযোগকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হবে।

শহরব্যাপী সমন্বিত স্যানিটেশন কাঠামো এবং এর নির্দেশিকা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের জবাবদিহিতা শক্তিশালী করা হবে। প্রল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ১০টি অগ্রাধিকারভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন কার্যক্রম ব্যবস্থার উন্নয়নসহ স্যানিটেশন কভারেজ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। দারিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষও প্রকল্পের সুফল পাবে।

প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতনা বৃদ্ধি, বিটেড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ১০টি শোধনাগার ও ব্যবস্থাপনা স্থাপনা নির্মাণ, পরিশোধন ও ব্যবস্থাপনা স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও ৬৩টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, রোড সুইপিং, ডিজেল জেনারেটর, এক্সকাভেটর, বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র কেনা হবে। একইসঙ্গে ১০টি কঠিন বর্জ্য পরিশোধন ও ব্যবস্থাপনা স্থাপন, ৬৫টি ওয়াটার পয়েন্ট স্থাপনসহ ৩৮৭টি হস্তচালিত ঠেলাগাড়ি কেনা হবে।

এমওএস/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।