আপিলেও মেলেনি তথ্য, গাজীপুরের জেল সুপারকে জরিমানা

নির্দেশনা সত্ত্বেও তথ্য না দিয়ে বাধা সৃষ্টি করায় গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী সাতদিনের মধ্যে তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তথ্য কমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৬ (জুলাই-ডিসেম্বর) মাস পর্যন্ত বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের দরপত্র) দরপত্রের তুলনামূলক বিবরণী (সিএসকপি) ও দরপত্র মূল্যায়ন কার্যবিবরণীর (মিনিট কপি) অনুলিপি চেয়ে জেল সুপার, গাজীপুর জেলা কারাগার, গাজীপুর বরাবর তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন মৌলভীবাজারের ঠিকাদার মোহাম্মদ শাহজাহান।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য না পেয়ে অভিযোগকারী ডিআইজি, প্রিজন, ঢাকা বরাবর আপিল আবেদন করেন। আপিল করেও তথ্য না পেয়ে পরবর্তীতে তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন।
এতে আরও জানানো হয়, তথ্য কমিশনে সেই অভিযোগের বিষয়ে গত মার্চ ভার্চুয়াল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি করেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, তথ্য কমিশনার সুরাইয়া ও তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক।
অভিযোগের বিষয়ে তথ্য কমিশনে শুনানি ও দাখিল করা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপারকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনকারীর চাওয়া তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়। তথ্য প্রাপ্তির আবেদনের কোনো জবাব না দেওয়ায় জেল সুপারকে সতর্ক করা হয়।
কমিশন জানায়, তথ্যসমূহ সরবরাহের জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দিলেও তিনি তা অমান্য করে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ২৫ (১২) ধারাকে লঙ্ঘন করেছেন। কমিশনের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য সরবরাহ না করে তথ্য দিতে বাধা সৃষ্টি করায় গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দকে জরিমানা করা হয়।
এসএম/এমআরএম/এমএস