দশকের হিসাবে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বেড়েছে এবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৫ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২২
ফাইল ছবি

স্বাধীনতার পরে ছয়টি জনশুমারিতে দশকে হিসাবে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বেড়েছে এবার। গত এক দশকে জনসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন। এর আগে গত দশকে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত জনশুমারিতে ছিল ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩৪ জন।

বুধবার ( ২৭ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ‘ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক দশকে দুই কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন বেড়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ১২ হাজার ৬২৯ জন।

১৯৭৪ থেকে ১৯৮১ সালে জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪ জন। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সালে জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৯১ লাখ ৯৫ হাজার ২৭ জন। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালে জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার ২৭১ জন। ২০০১ থেকে ২০১১ সালে জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৯৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩৪ জন।

জনসংখ্যার গড় ঘনত্ব বা প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করেন এক হাজার ১১৯ জন। তবে সব থেকে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। সেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৯ হাজার ৩৫৩ জন বসবাস করেন। তবে সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে সব থেকে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক)। রসিকে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে তিন হাজার ৪৪৪ জনের বসবাস।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এম এ মান্নান এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।

আরএসএম/জেএস/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।