মিয়ানমারের গোলা যেন বাংলাদেশে না পড়ে, সতর্কবার্তা রাষ্ট্রদূতকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৭ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

মিয়ানমার থেকে কোনো মর্টারের গোলা যেন আর বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে না পড়ে সে বিষয়ে ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে সতর্ক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের এই দূতকে তলব করে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বান্দরবানের ঘুমধুম ঘোনারপাড়া সীমান্তে শূন্যরেখায় মর্টারের ওই গোলা এসে বিস্ফোরণ হয়। এতে মোহাম্মদ ইকবাল (২৮) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হন অন্তত আটজন।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হলে তিনি বেলা সাড়ে ১১টার পর মন্ত্রণালয়ে হাজির হন। সেখানে আধঘণ্টার মতো ছিলেন এই দূত। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান রাষ্ট্রদূত।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদপত্র দিয়েছি আমরা। সীমান্তে সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর পুনারাবৃত্তি যেন আর না হয়, সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করেছি।

তাদের বলা হয়েছে, মিয়ানমারে কী হচ্ছে, সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব নয়। সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের। কিন্তু মিয়ানমারের গোলা যেন আমাদের এখানে এসে না পড়ে, সেটা বলা হয়েছে রাষ্ট্রদূতকে।

এক মাসের মধ্যে এ নিয়ে চতুর্থবার তলব করা হলো মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে। এর আগে সবশেষ ৪ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মাইনুল কবির একই ঘটনায় রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলব করে প্রতিবাদপত্র দেন। তারও আগে ২১ ও ২৯ আগস্ট মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।

রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘাতের ধারাবাহিকতায়ই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে বলা হচ্ছে। তবে সব কিছু মাথায় রেখেই সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রেখেছে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক এ পরিস্থিতির কারণে বান্দরবানসহ মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে বরাবরই এ ধরনের অস্থিরতার কূটনৈতিক সমাধানের কথা বলছে বাংলাদেশ।

এইচএ/জেএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।