পুলিশের আচরণে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার ক্ষোভ
সম্প্রতি পুলিশ বাহিনীর কোনো কোনো সদস্যর অসদাচরণ ও পর পর কয়েকটি পুলিশী নির্যাতনের ঘটনায় দেশের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা বলেছেন, এসব ঘটনা প্রমাণ করে পুলিশ এখনো সত্যিকার অর্থে জনগণের বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (বিএমবিএস) এর যোগাযোগ কর্মকর্তা ফাতেমা ইয়াসমিনের দেয়া তথ্য ও নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।
তিনি বলেন, পুলিশী নির্যাতনের এসব ঘটনা একদিকে যেমন পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবেও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আমরা বিভিন্ন সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শাহ আলী থানার চার পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের সোর্স দেলোয়ার চাঁদা আদায়ের জের ধরে বাবুল মাতব্বর নামে একজন চা দোকানিকে জলন্ত চুলার উপর ফেলে হত্যা করে। ৯ জানুয়ারি একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকেনির্যাতন, এর এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তাকে নির্যাতন, ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্থা, ২৭ জানুয়ারী যশোরে টাকার জন্য প্রবাসীকে আটক রেখে পুলিশের নির্যাতন, ১৭ জানুয়ারি আগৈলঝরায় ব্যবসায়ীকে পুলিশের নির্যাতনসহ নানা ধরনের খবর প্রতিদিন আসছে।
সিগমা হুদা বলেন, এই ঘটনাগুলোর জন্য শুধু অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার বা সড়িয়ে নেয়া নয়, যথাযথ তদÍপূর্বক দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ফৌজদারি আইনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, পুলিশী তদন্তের বিষয়ে সংস্থা কর্তৃক একটি মামলা ও মনি বেগম নামে একজন রাজনৈতিক কর্মীর ফৌজদারি মামলার রায়ে হাইকোর্ট এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিজেরা নিজেদের সদস্যদের মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠান বা কমিটি প্রনয়ণ করে এসব তদন্তের সুপারিশ করেন তিনি।
এই সমস্যা সমাধানে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নিয়মিত ভিত্তিতে তদারকি, পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নানা ধরণের প্রশিক্ষণ, কোড অফ কন্ডাক্ট মেনে চলার তাগিদ, নৈতিকতা শিক্ষা, ভালো কাজের পুরস্কার নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করে সংস্থাটি।
এফএইচ/পিআর