বর্ণাঢ্য আয়োজনে জবিতে সরস্বতী পূজা


প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২৯টি পূজামণ্ডপে শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের মহোৎসব শুক্লাপঞ্চমীর পূণ্যতিথিতে বাগ্দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়েছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল। পূজাকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নানা সাজে সজ্জিত করেছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে।

ধর্মীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লপঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চড়ে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। দেবী সরস্বতীর প্রতিমাতে অঞ্জলী প্রদানসহ নাচগানের মধ্যদিয়ে এই পূজা পালিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি সব ধর্মের মানুষ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করায় তা হয়ে উঠেছে আরো বেশি উপভোগ্য।

পূজা উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে চলে নির্ঘুম আয়োজন। অপরূপ আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণকে। ফাগুনের সকাল শুরু হতেই হিন্দুধর্মালম্বী হাজারো বিদ্যান্বেষীর ভিড় জমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজামণ্ডপ ঘিরে। এ ছাড়াও এই মহোৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে চারুকলা ইনস্টিটিউটের তৈরি প্রতিমা।

"
পাশাপাশি এবারের সরস্বতি পূজায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল পহেলা ফাগুনের কারণে। এমনি নাচনি বুড়ি তার উপর ঢাকের বারির মতন অবস্থা। ফাগুনের প্রথম দিনটিতে বসন্তে বরণে বাঙালি তরুণ-তরণীরা সাজে নানান সাজে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পূজা। তাও আবার বিদ্যার দেবী সরস্বতী। আর তাই জাতি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল ধর্মের অনুসারী শিক্ষার্থীদের বাসন্তী রঙ্গের কাপড়ে আচ্ছাদিত মানবগুলোর পদচারণা মুখরিত হয় জবি ক্যাম্পাস। পাশাপাশি বিভাগগুলোর নিজস্ব সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাও ছিল। এদিন এক অন্যরকম শ্রী পায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষের পূজায় উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। পরিবার-পরিজন নিয়েও অনেকে এসেছেন পূজা দেখতে। সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের অবতারণা ঘটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আর তা ছড়িয়ে যায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে।

এদিবে পূজা উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ এবং অপরাজেয় বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দরিদ্র শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

"
এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “মানবতার সেবাই প্রকৃত ধর্ম। সমাজের বিত্তশালীসহ সকলকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা উচিত। সেইসঙ্গে সমাজে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।”

এসময় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পাল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী নুর মোহাম্মদ।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।