শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করছেন বলেই দেশের চেহারা পাল্টে গেছে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২২

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে ফলো (অনুসরণ) করছেন বলেই তাকে আজ অনেক কিছু চিন্তা করতে হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু যেসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন কিন্তু করে যেতে পারেননি, তিনি সেগুলো একে একে সম্পন্ন করছেন বলেই আজ বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে গেছে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ একটি ধ্বংসস্তূপ ছিল। ব্রিজ ছিল না, খাবার ছিল না, কাপড় ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের পর কাপড়ের জন্য আমাদের লাইন ধরতে হতো। বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে ধরে বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি খালেদ মোশাররফের অধীনে ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছি। তিনি একজন বীরপুরুষ ছিলেন। তাকে অল্পের জন্যও চিন্তিত, মনোবল হারাতে দেখিনি। একাত্তরের যুদ্ধ তার প্রাণ কেড়ে নিতে পারেনি, প্রাণ কেড়েছিল ঘাতকরা।

তিনি বলেন, আমরা অনেক হত্যাকাণ্ড দেখেছি সেখানে যে দায়ী তাকেই শুধু হত্যা করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বেলায় তার সহধর্মিণীসহ সপরিবারে হত্যা করা হয়। তিনি আমাদের ১১ দফা আন্দোলনের সময় প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করতেন, উৎসাহ দিতেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিশ্বাস ছিল, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত হবে সেই ঘুরে দাঁড়াবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছেন, আজকের বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তাকেও ১৯-২০ বার হত্যা চেষ্টা হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জিয়াউর রহমানকে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা বলেন। তিনি বরং আমাদের ভেতর অনুপ্রবেশকারী ছিলেন। জিয়াউর রহমানকে সীমান্তে কোনো সম্মুখযুদ্ধে পাওয়া যায়নি। তার অনুপ্রবেশ একটি দীর্ঘমেয়াদি সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের ফল। যে দল গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রের নামে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ চালায়, ধর্মের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, অগ্নিসন্ত্রাস করে, সে দলের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। এদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সশস্ত্র বাহিনীতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষক আনোয়ার কবির প্রমুখ।

আল-সাদী ভূঁইয়া/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।