এফবিআইয়ের কারণে অভিজিত হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ধীর গতি
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) অভিজিত হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে ১১টি আলামত নিয়ে যায় পরীক্ষার জন্য। তাদের ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো হাতে না পাওয়ায় অভিজিত হত্যার তদন্ত ধীর গতিতে চলছে বলে দাবি করছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব কথা জানান।
তিনি জানান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর এফবিআই ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামতসমূহ পরীক্ষা করে। তারা বাংলাদেশ সরকারকে বিনামূল্যে এর রিপোর্ট প্রদান করবে বলে জানায়। তবে একবছরেও আমরা এই রিপোর্ট হাতে পাইনি।
বাংলাদেশ পুলিশের আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানা গেছে, এফবিআই ইতোমধ্যে কয়েকজনের ডিএনএ প্রোফাইল পেয়েছে। পরীক্ষা প্রক্রিয়া শেষ করে তারা সব রিপোর্ট একসঙ্গে দেবে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জড়িত কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কেউই এখনো আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেননি। তাই তাদের কিংবা আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় কমপক্ষে আরও সাতজন আসামি জড়িত রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে তারা সত্যিই আনসারুল্লাহর প্রধান জসীমউদ্দিন রাহমানির অনুসারী ছিলেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর টিএসসির সামনে ড. অভিজিত রায়কে কুপিয়ে হত্যা করেন অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
এআর/এমজেড/এবিএস