খাগড়াছড়ি আ.লীগের কার্যালয় এলাকায় নাটকীয় ১৪৪ ধারা জারি
খাগড়াছড়ি জেলা আ.লীগের কার্যালয় এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুইটি গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলানোকে কেন্দ্র করে দলটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাহেদুল আলমের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল।20160220144413.jpg)
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলে নিতে শনিবার সকাল থেকেই সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাহেদুল আলমের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের পেছনের মাঠে অস্থায়ী কার্যালয় বানিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়।
অপরদিকে, বিকেলে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সমর্থকরাও লাঠিসোঠা নিয়ে দলীয় কার্যালয় অভিমুখে জেলা সদরের কদমতলী এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রণবিক্রম ত্রিপুরার নেতৃত্বে মিছিল দলীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পৌরসভার সামনে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাদস্তির ঘটনাও ঘটে।
পরে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম কাউছার হোসেন দলীয় কার্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সমর্থকদের সরিয়ে দেন। পরে দলীয় কার্যালয়ের পেছনের অংশে অবস্থান নেয়া মো. জাহেদুল আলম সমর্থকদের ওই স্থান ত্যাগ করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী।20160220144409.jpg)
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি। দলীয় কার্যালয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিকভাবে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বিরোধে না জড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলম ও তার অনুসারীদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে নির্বাচনের পরপর দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সমর্থকরা।
সে থেকে দফায় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সর্বশেষ শনিবার বিকেলে জেলা শহরের আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এআরএ/আরআইপি