জবির লোক প্রশাসন বিভাগের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ‘নবীন বরণ ও গুণী সম্মাননা-২০১৬’ অনুষ্ঠিত হয়েছে । মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনাতয়নে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লোক প্রশাসন বিভাগ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এসময় নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরি করা লোক প্রশাসন বিভাগের পরিচিতিমূলক তথ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মোহাব্বত খান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ও ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়াকে উত্তরীয় পড়িয়ে দেয়া হয় সেই সঙ্গে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় অধ্যাপক ড. মোহাব্বত খানকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “সমাজের সকল ক্ষেত্রে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য রয়েছে। তথ্য আহরণ, বিতরণ ও জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বিভাগের স্বকীয়তা তুলে ধরতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “শুধুমাত্র বই পুস্তকের মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব, তা নয়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার মাধ্যমেও জ্ঞান অর্জন করা যায়। তথ্যসমৃদ্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা মূলত মেধাবী শিক্ষার্থী। তাই ভাল শিক্ষার্থী হতে হলে আরো বেশি করে তথ্যসমৃদ্ধ হতে হবে।”
প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাব্বত খান শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “গবেষণা ও পড়াশোনার প্রতি শিক্ষকদের বেশি করে মনোযোগী হতে হবে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গবেষণার কোন বিকল্প নেই।”
তিনি নবীনদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “তরুণ শিক্ষার্থীদের উপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় শিক্ষকদের নিকট হতে জ্ঞান আহরণ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. আছমা বিন্তে ইকবাল এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও নবীন বরণ ও গুণী সম্মাননা অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শামীমা আক্তার।
অনুষ্ঠান শেষে বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এসএম/এসকেডি/এবিএস