এনআইডি স্থানান্তর নিয়ে কোনো সংকট নেই: ইসি রাশেদা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৬ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, এনআইডি স্থানান্তর নিয়ে আমরা বসে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করবো। তবে এখনই কিছু বলবো না। এনআইডি থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সংকট নেই।

রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটগ্রহণ ব্যবস্থায় এনআইডি ও ভোটার নম্বর ব্যবহারবিষয়ক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, অধ্যাপক হায়দার আলী, ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সংকট নেই। তবে এটা নিয়ে যেন টানাহেঁচড়া না হয়, যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি, তাই আমরা প্রযুক্তিবিদদের মতামত নিয়েছি। পরবর্তীসময়ে কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে কেউ কেউ ইসির অধীনেই এনআইডি থাকার পক্ষে। কেউ কেউ থাকার পক্ষে নয়। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানার জন্য বসেছিলাম। এখন আমরা নিজেরা বসবো। বসে সিদ্ধান্ত নেবো। জিনিসটা যেন সঠিক হয়, আমরা যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি এজন্যই প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বসেছিলাম।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, যেহেতু সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনআইডি উনারা করবেন। আর ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, এটা উনারা করেছেন, এটা এখানে থাকাই ভালো। তাই এটা নিয়ে প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা আমাদের কাছে একটা স্মারকলিপি দিয়েছিলেন ও যুক্তি তুলে ধরেছিলেন যে, ইভিএমে ভোট হলে ও মন্ত্রণালয়ে এনআইডি চলে গেলে ভোট নিতে সমস্যা হতে পারে। যেহেতু বিষয়টা টেকনিক্যাল, তাই আইটি বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো শুনেছি। কোনো মতামত দেইনি।

তিনি বলেন, উনারা স্পষ্টভাবে চারজন যেটা বলেছেন, টেকনিক্যালি কোনো সমস্যা হবে না। কারণ সার্ভার তো আমাদের কাছেই থাকছে। এটা কোনো সমস্যা নয়। উনাদের মিশ্র বক্তব্য আসছে।

‘একজন বলেছেন এটা তো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আপনারা কেন বাড়তি দায়িত্ব নিতে যাবেন। ইসির কাজ হলো ভোটার তালিকা করা, সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এটা তো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। কাজেই না থাকাই ভালো।’

ইসি বলেন, কেউ বলেছেন, যেহেতু এটা সরকারেরই কাজ, তাই সরকার চাইলে নিতে পারে। তবে যেহেতু ইসি এটা করে আসছে দক্ষতার সঙ্গে, এক্ষেত্রে কমিশনের কাছেই যদি দক্ষতার সঙ্গে রাখা যায়। এখন অন্য কেউ কাজ করবে, সময় লাগবে, এতে মানুষ যে সার্ভিস পাচ্ছে এটা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই সরকারকে যদি কনভিন্স করা যায় যে, আপনারা চাইলে নিতে পারেন, তবে এটা এখানে থাকলে ভালো হয়।

তিনি আরও বলেন, উনারা আরও বলেছেন, ইভিএমে যেখানে ভোট হবে সেখানে শুধু এনআইডি ইনসার্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে নামটা চেঞ্জ করে ভোটার কার্ড করে দেবেন। যেহেতু অনেক মানুষ সার্ভিস নেওয়ার জন্য এনআইডি নেয়, এতে ভোটার হাওয়ার আগ্রহ কমে যেতে পারে। তবে ভোট সুষ্ঠু হলে ভোটার হওয়ার আগ্রহ কমে যাবে না।

সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, আমরা উনাদের কথা শুনেছি। এখন বসে (কমিশন বৈঠক) সিদ্ধান্ত নেবো। সিইসি বলেছেন, আমরা যেটাই করি না কেন, যুক্তিযুক্ত হবো। কোনো পক্ষপাতিত্ব হবো না। যেটা বেটার, যেটা লজিক্যাল সেটাই করবো। সরকারের চাওয়া লজিক্যাল হলে চলে যাবে। আর না হলে আমাদের যুক্তি তুলে ধরবো।

এইচএস/আরএডি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।