ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার

কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও বাংলাদেশ-ভারতের মানুষের মাঝে বর্ডার নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মাঝে সত্যিকার অর্থে কোনো বর্ডার নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন।

তিনি বলেন, ‘দুদেশের মানুষের সম্পর্ক এত গভীর ও হৃদ্যতাপূর্ণ যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও মানুষের মাঝে কোনো বর্ডার নেই। ভারত প্রতিবেশী প্রথম নীতিতে বিশ্বাস করে। আর প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় সবার আগে। বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে অনেকদূর।’

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ জিমনেসিয়াম মাঠে পঞ্চদশ শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.) এর ১১৭তম উরস উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাইজভান্ডারী একাডেমি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতের আগুনে প্রাণ গেলো একই পরিবারের ৫ জনের

ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক পরীক্ষিত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত সহযোগিতা করেছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অনেক ভারতীয় প্রাণ দিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের, যা কেউ ছিন্ন করতে পারবে না।’

শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের মানবিক কাজের প্রশংসা করে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বলেন, মাইজভান্ডারী একাডেমি ও সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে অবদান রাখছে। যেমন শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা, অসহায় ও মেধাবীদের সহযোগিতা, দরিদ্রদের মেয়ের বিয়েতে সহায়তা, আত্মনির্ভর করতে সহায়তাসহ নানা মানবিক কার্যক্রম।

তিনি বলেন, হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর একটি বাণী রয়েছে, তা হলো- আমার দরবার প্রাচ্যের বায়তুল মোক্কাদ্দেস। সব জাতির মিলনকেন্দ্র। বাণী অনুযায়ী- মাইজভান্ডারে সব ধর্ম ও জাতির মানুষ মিলিত হয়। এছাড়া মাইজভান্ডার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। কারণ সুফিবাদ সবসময় ঐক্য ও প্রেমের কথা বলে। প্রেমের মাধ্যমে পৃথিবী জয় করা যায়, যা মাইজভান্ডারী তরিকার মূলনীতি।

আরও পড়ুন>> স্ত্রী-কন্যার পর চলে গেলেন মনজুরুল, মৃত বেড়ে ৪

শিশুদের উদ্দেশে ভারতীয় এ সহকারী হাইকমিশনার বলেন, আজকের শিশু-কিশোররাই আগামী দিনের নির্মাতা। তাই শিশুদের মানবিক গুণে বেড়ে ওঠার পথ ও স্বপ্ন দেখাতে হবে। সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে সমৃদ্ধ মানুষ তৈরি করতে হবে। আজ ভীতি ও শঙ্কা নিয়ে শিশুরা বড় হচ্ছে। চারপাশে আজ উৎপীড়ক ও প্রতিহিংসাপ্রবণ মানুষের অভাব নেই। এদের গ্রাস থেকে শিশুদের বাঁচাতে হবে। মাইজভান্ডারী একাডেমির এ আয়োজনে শিশুদের স্বপ্ন ও প্রতিভার বিকাশ ঘটবে নিঃসন্দেহে।

শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের সচিব এওয়াই এমডি জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন লায়ন গর্ভনর সামসুদ্দিন আহমদ সিদ্দিক, মোসলে উদ্দিন, বিভাগীয় প্রধান, জেলা শিশু কর্মকর্তা, জাতীয় জাদুঘরের উপ-পরিচালক ড. আতাউর রহমান, বোরখান উদ্দিন মোহাম্মদ আহসান, আলোকচিত্র শিল্পী সোয়েব ফারুকী, সৌরভ দাশ, মাইজভান্ডারি একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জহুর উল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মীর তরিকুল আলম প্রমুখ।

পরে অতিথিরা বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ইকবাল হোসেন/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।