মোস্তাফিজ সুলতানের কাব্যগ্রন্থ ‘তোমার অস্তাচল’


প্রকাশিত: ০৫:২০ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অমর একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে মোস্তাফিজ সুলতানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তোমার অস্তাচল’। সহযোদ্ধা, খুলনা প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত ‘তোমার অস্তাচল’ কাব্যগ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে একুশে বই মেলায়, লিটল ম্যাগ চত্বর শালুকে; মূল্যঃ ১২০.০০ টাকা।

এই কাব্যগ্রন্থে উঠে এসেছে একদিকে হৃদয়ের ভেতরে জমে ওঠা বুদ্বুদ, কারো জন্য, কোন নির্ভার সময়ের জন্য; আরেকদিকে একটি সুষম সমাজের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষার পলেস্তরায় ঢাকা সংগ্রামের চেতনা। এরই মাঝখানে নাগরিক জীবনের নানা অনুষঙ্গ ক্রমশ চেপে বসে বুকের চাপা যন্ত্রণা নিয়ে। কৈশোরের প্রেম- ভালবাসা ধীরে ধীরে সমাজ বদলের পরিণত সংকল্প রূপ নিয়েছে মোস্তাফিজ সুলতানের কবিতায়। টুকরো টুকরো শব্দ বন্ধ, বাক্যাংশ আর বাক্য মিলে তৈরি করেছে ভালোলাগার ছন্দ। অন্তমিল ও মুক্ত ছন্দের মেলবন্ধন ঘটেছে তাতে। এ সেই কবিতা যা পাঠককে নিয়ে যাবে নির্মল আনন্দ আর বাস্তবের কঠিন মিশ্রিত এক নতুন জগতে। সেই জগতে স্বাগতম।

রাজশাহীতে জন্মনেওয়া কবি মোস্তাফিজ সুলতান রাজশাহীতে স্কুল ও কলেজ জীবন শেষে যন্ত্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রী নিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)  থেকে। এরপর আইটিসি, জেনেভা থেকে নিয়েছেন সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা। বর্তমানে ঢাকায় একটি বেসরকারী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

নব্বইয়ের দশক থেকে লেখালেখি করেন মোস্তাফিজ সুলতান। লেখালেখির অনুপ্রেরণা পেয়েছেন সহোদর  কবি মাহবুবুর রহমান বাদশাহ’র কাছে থেকে। বাবা-মা এবং সাত ভাই-বোনসহ পুরো পরিবারই রাজশাহীর প্রগতিশীল রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সহযোদ্ধা।

ঐতিহ্যবাহী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের অকুতোভয় কর্মী ছিলেন।  বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়ে বিভিন্ন সময় রাজশাহী, খুলনা, গাজীপুর এবং ঢাকায় শ্রমিক ও ক্ষেত-মজুর আন্দোলনের সাথে থেকেছেন। ৮০ ও ৯০-র দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন।

ছাত্রাবস্থায় রাজশাহী ও খুলনার বিভিন্ন লিটল ম্যাগে অনিয়মিত লেখালেখি করতেন। ‘তোমার অস্তাচল’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে এবারের বইমেলায় আত্মপ্রকাশ ঘটলো কবি  মোস্তাফিজ সুলতানের।  

এইচআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।