ক্ষুদ্ধ প্রকাশকদের সংবাদ সম্মেলন বিকেলে
বাঙালির প্রাণের বইমেলায় অবস্থানরত প্রকাশকদের দাবি না মানায় ক্ষুদ্ধ প্রকাশকরা সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। শুক্রবার বিকেল ৪টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।
জানা গেছে, হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা না করে শুক্র ও শনিবার শুরুর দিকে মেলার সময় আধা ঘণ্টা এবং এর পরের দু’দিন এক ঘণ্টা বাড়িয়েছে বাংলা একাডেমি। যা ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন প্রকাশকরা।
মূলত প্রকাশকদের দাবি মেলা শেষের সময় রাত ৮টার বদলে যেন ৯টায় করা হয়। কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তা মানছে না আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি।
এদিকে অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টায় মেলার প্রবেশ পথ খুললেও সময় মতো স্টল খোলেননি প্রকাশকরা।
শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ে বইমেলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর প্রকাশকদের দাবির প্রেক্ষিতে বইমেলার সময় কয়েক ঘণ্টা বাড়ায় বাংলা একাডেমি। বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই তা প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, শুক্রবার যা কার্যকর করলেন তারা।
সমিতির নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান শায়ক বলেন, সমিতির আওতাধীন বড় বড় ১৫২টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আগের মতোই বেলা ১১টায় স্টল খুলেছে। বাংলা একাডেমি থেকে সময় বাড়িয়ে সাড়ে ১০টা করা হলেও চাহিদা মতো না হওয়ায়, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি।
এ ব্যাপারে মেলার পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, মেলার সময় ৩০ মিনিট এগিয়ে আনা হয়েছে। সে হিসেবে মেলাও আগে খুলেছে। তবে সমিতির কারো কারো স্টল আগের সময়ই খোলার বিষয়ে বাংলা একাডেমি কিছুই জানে না।
অনন্যা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী মনিরুল হক বলেছিলেন, মেলার শুরু ও শেষ দুই বেলাতেই কমপক্ষে ২ ঘণ্টা সময় বাড়ানো উচিত। এতে প্রকাশনা সংস্থাগুলো অল্প হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারত। এটা না করলে আসলে অমানবিক ছাড়া কিছুই বলার নেই।
শুধু প্রকাশকরাই নয়, লেখকরাও চান মেলার সময় আরো বাড়ানো হোক। জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, “বুধবার শিলাঝড়ের পর বইমেলায় এসেছি। লণ্ডভণ্ড অবস্থা দেখে খুব খারাপ লেগেছে। যারা বড় প্রকাশনা তারা হয়ত এ ধকল কাটিয়ে উঠতে পারবে, কিন্তু ছোট প্রকাশনাগুলোর কথা ভেবে কর্তৃপক্ষের উচিত বিবেচনা করা।”
কিন্তু প্রকাশক-লেখকদের দাবি উপেক্ষা করে ‘নিরাপত্তার’ অজুহাত দেখিয়ে বাংলা একাডেমি সময় বাড়াতে রাজি হয়নি।
এমএম/আরএস/এবিএস