রাবির নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করলো মেহেরপুর ছাত্র উন্নয়ন সংঘ


প্রকাশিত: ০৭:৫৩ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া মেহেরপুরের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মেহেরপুর ছাত্র উন্নয়ন সংঘ। শুক্রবার দিনব্যাপি রাজশাহী নগরের পাঠানপাড়া এলাকার সীমান্তে নোঙরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মেহেরপুর ছাত্র উন্নয়ন সংঘের সভপতি মিকাইল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মেহেরপুর জেলা আয়তনে ছোটো হলেও এই জেলার রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। এসময় মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের কথা উল্লেখ করেন তারা।

বক্তারা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি জেলা থেকে উঠে এসেছি। একসময় এই জেলার শিক্ষার মান এতো ভালো ছিলো না। কিন্তু এ জেলা আর আগের সেই জেলা নেই। ধীরে ধীরে শিক্ষা-দীক্ষাসহ নান কর্মকাণ্ডে আমরা এগিয়ে চলেছি দুরন্ত গতিতে।’

বক্তারা নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা পড়াশোনার ক্ষুদ্র স্তর পেরিয়ে বৃহৎ পরিসরে পদার্পণ করেছো। তোমাদের দায়িত্বও শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তোমাদের প্রথমে মাথায় রাখতে হবে এখানে তোমরা পড়াশোনা করতে এসেছো।’

এ সময় নবীন শিক্ষর্থীরা মেহেরপুর ছাত্র ইউনিয়ন সংঘকে নিজের পরিবার উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা পরিবার ছেড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু মেহেরপুর ছাত্র উন্নয়ন সংঘে এসে মনেই হচ্ছে না আমরা পরিবার ছেড়ে এসেছি। মনে হচ্ছে আমরা নতুন আরেক পরিবার পেয়েছি।’

আলোচনাসভা শেষে নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে ফুল, চাবির রিং ও মেহেরপুর ছাত্র উন্নয়ন সংস্থার ২০১৬ সালের দিনপঞ্জিকা তুলে দিয়ে বরণ করা হয়।

এসময় এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, নগরীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক জহুরুল ইসলাম তুষার, মেহেরপুর ছাত্র উন্নয়ন সংঘের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক টিটন, সাংগাঠনিক সম্পাদক মকবুল হোসেনসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এদিন মেহেরপুর জেলার নবীন ও বর্তমানে অধ্যয়নরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাশেদ রিন্টু/এসকেডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।