দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত


প্রকাশিত: ০৩:১৪ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

‘স্যোশাল এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ পলিসি ডায়ালগ আয়োজন করলো ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ। ঢাকার ফুলার রোডে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানটি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এ আয়োজন শেষ হয়েছে শুক্রবার।  

মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য থেকে নীতি নির্ধারক, সামাজিক উদ্যোক্তা ও সামাজিক বিনিয়োগকারী এবং অনুশীলনকারীসহ মোট ১০০ জনকে এক ছাদের নিচে আনা হয়েছে এই আয়োজনে।

স্যোশাল এন্টারপ্রাইজ ইউকে, ব্র্যাক, ডিনেট এবং এমপাওয়ারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে উক্ত অতিথিদের স্বাগত করা হয়েছে বাংলাদেশ পলিসি ডায়ালগের আয়োজনে। সামাজিক উদ্যোগ এবং উন্নয়নে সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সহায়তা করতেই মূলত এই বাংলাদেশ পলিসি ডায়ালগ আয়োজন করা হয়েছে।
     
বাংলাদেশে সামাজিক উদ্যোগ বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নে উন্নতিকরনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলো দু’দিনের এ আয়োজনে। উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ছাড়াও যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রগুলো কিভাবে সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়গুলোও আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাতে করে উল্লেখিত বিষয়গুলো বাংলাদেশে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া দেশের সামাজিক উদ্যোগ, শিক্ষা ও বেসরকারি সেক্টরে উদ্যোক্তা তৈরিতে উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়া এবং যুক্তরাজ্য কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে বিষয়গুলোও তুলে আনা হয়েছে আলোচনায়।

বাংলাদেশে উপযুক্ত সময়ে উক্ত আয়োজনটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ উদ্যোগ নিয়ে অনেক কাজ করছে যা অন্যান্য অনেক দেশের জন্য আদর্শস্বরূপ। ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংক এক্ষেত্রে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ফলে অপেক্ষাকৃত কম উন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করছে দাতা দেশগুলো।   

বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উর্ধ্বতন সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এনডিসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ পলিসি ডায়ালগ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাই কমিশনার মার্ক ক্লেটন এবং মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সল বাংলাদেশের পরিচালক বারবারা উইকহেম।

বারবারা উইকহেম বলেন, সামাজিক উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের নীতিমালা প্রণয়নে দেশের নীতি নির্ধারকরা বিভিন্নভাবে  সমস্যা সমাধানে কাজ করতে নিয়োজিত হচ্ছেন যা ইতিবাচক একটি দিক। নীতিমালা না থাকায় উদ্যোক্তারা বেশিরভাগ সময়ই আইনি সহায়তা, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ এবং ঋণপরিশোধে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। বাংলাদেশ পলিসি ডায়ালগ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ ধরনের সমস্যা সমাধানের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে নীতিমালা তৈরিতে সহায়তা করতে ইচ্ছুক ব্রিটিশ কাউন্সিল।

দু’দিনের আয়োজনে থাকছে নয়টি সেশন যেখানে সংশ্লিষ্ট ৩৩ বিশিষ্টজন এবং প্যানেলিস্টরা বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচনা শেষে সমস্যা সমাধানে নীতি নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে করণীয় নিয়ে বিশেষ সুপারিশ বা উপদেশ দিয়েছেন তারা। দুটি সেশনে রাখা হয়েছে ব্যবসা ও বিনিয়োগ খাতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট রিডিনেস (বিআইআর) এবং ইনভেস্ট অ্যান্ড গ্রো (আইআইজি) নিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং উদ্ভাবন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ পলিসি ডায়ালগ আয়োজন করলো ব্রিটিশ কাউন্সিল।
 
এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।