প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় ছাত্রীর মাথায় আঘাত : অবস্থা গুরুতর
শরীয়তপুর সদর উপজেলার মাহমুদপুর খাঁ পাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আনোয়ারুল হক এর বিরুদ্ধে ছাত্রী প্রহারের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় এ প্রহারের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, মাহমুদপুর গ্রামের শাহ আলম খান এর মেয়ে তাসলিমা আক্তার (১৫) খাঁ পাড়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। তিনি প্রতিদিনের মতো আজও মাদরাসায় গিয়েছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার সময় মাদ্রাসার সুপার আনোয়ারুল হক দশম শ্রেণির ক্লাস নিতে আসেন। ক্লাস চলাকালীন সময় ছাত্রী তাসলিমা আক্তারকে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় তাকে বেত দিয়ে মাথায় প্রহার করা হয়। বেতের প্রহারের কারণে ছাত্রী তাসলিমা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জরুরীভাবে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাসলিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তাসলিমা আক্তারের বাবা শাহ আলম খাঁ বলেন, খাঁ পাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার আনোয়ারুল হক প্রায়ই ছাত্রীদের মারধর করেন। আমার মেয়েটাকে যেভাবে মেরেছে এটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মাদরাসার সুপার আনোয়ারুল হক এর সঙ্গে আলাপ কালে তিনি বলেন, ক্লাসে ছাত্রীরা হৈ চৈ করছিল আমি একটা মেয়েকে পিটান দিতে গিয়ে ওর মাথায় লেগে যায়। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে ওকে প্রহার করতে চাইনি।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, আমি ব্যাপারটি জানিনা। তবে কেউ যদি আমাদের কাছে সহযোগিতা নিতে আশে তাহলে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা আফিসার নলিনী কুমার বলেন, আমি ব্যাপারটি জানিনা। আমি থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য বলেছি। যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছগির হোসেন/এমএএস/এমএস