শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে বোয়ালখালী
![শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে বোয়ালখালী](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/shelter-project-1-20230320112247.jpg)
শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা। ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোয়ালখালীকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করবে। ওইদিন চতুর্থ পর্যায়ে নির্মিত জমিসহ ঘর বিতরণের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন।
৫৩টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের অনুষ্ঠানকে ঘিরে কর্মব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সুজন কান্তি দাশ নতুন আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনসহ উপকারভোগীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হচ্ছে পঞ্চগড়
ইউএনও মামুন বলেন, আশ্রয়ণে জমিসহ পাকা ঘরের মালিকদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ, সব ধরনের সহায়তা এবং পুরুষের পাশাপাশি নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে নানা প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, চতুর্থ পর্যায়ে নির্মিত ঘর বিতরণের মাধ্যমে বোয়ালখালী উপজেলাকে প্রধানমন্ত্রী গৃহ ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। এদিন জমিসহ ঘর পাবেন ৫৩টি পরিবার।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর জীবনমান এখন বদলে গেছে ঘর পেয়ে। এক সময় যাদের ছিল না কোনো নিজস্ব ঠিকানা। এ বাড়ি ও বাড়িতে ঠাঁই নিতেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের বাসস্থানসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধার ফলে অন্ধকারে পেয়েছেন আলোর দিশা। ফিরে পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা। ঘরসহ প্রতিটি জায়গা নারী ও পুরুষের নামে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৬ হাজার ২২৯ পরিবারের হাতে উপহারের ঘরের চাবি-জমির দলিল
জৈষ্ঠ্যপুরা ফতেয়ারখীল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জয়নাব বেগম বলেন, নিজের বাড়ি হবে কোনো দিন ভাবিনি। বিয়ের পর স্বামী বিদেশ চলে যান। আমাদের খোঁজ খবর নেয়নি। অনেক কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবন চালিয়েছি। ছেলে বড় করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে জায়গা ও বাড়ি দিয়েছেন। তার জন্য দোয়া করছি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা বৃদ্ধা ফরিদা বেগম বলেন, বিয়ের পর স্বামী চলে যান। তিনি বরিশালের মানুষ ছিলেন। তখন আমি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘরহারা, স্বামীহারা মেয়ে মানুষকে কে ঠাঁই দেয়? অনেক কস্ট করেছি ছেলেকে নিয়ে জীবনে। আজ ঘর পেয়েছি, জায়গা পেয়েছি। ছেলেও সংসারী। আমার নাতি-নাতনিদের নিয়েই সময় কাটে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সুজন কান্তি দাশ জানান, বোয়ালখালীতে চার পর্যায়ে ১৬০টি জমিসহ ঘর ভূমিহীনদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে ২০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০টি, তৃতীয় পর্যায়ে ৬০টি ঘর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি চতুর্থ পর্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে ৫৩টি ঘর। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে সাতটি উপকারভোগীদের দেওয়া হয়েছে। ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ, পানি ও স্যানিটারি সুবিধা রয়েছে।
ইকবাল হোসেন/জেডএইচ/জেআইএম